logo
news image

বাগাতিপাড়ায় নলকূপের পানি পানে দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়ার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নলকূপে বোতলজাত বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবং মঙ্গলবার সকালে ওই নলকূপের পানি পান করার পরে অসুস্থ বোধ করায় দুই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা নলকূপে পানি পান করতে যায়। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মেঘলা (১৩) এবং তার সহপাঠী রহিমা খাতুন (১৩) পানি পান করে। এরপর বাঁকিরা পানিতে বিষের গন্ধ পায় এবং সাদা পানি বের হওয়া দেখে শিক্ষকদের খবর দেয়। শিক্ষকরা নলকূপটি পরিদর্শন করে পানিতে বিষের গন্ধের এবং সাদা পানি বের হওয়ার সত্যতা পায়। পরে পানি পান করা দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলে, অধিক পিপাসার কারণে আমরা দুইজন বুঝতে না পেরেই পানি খেয়ে ফেলেছি। পরে অন্যরা বলার পরে আমরা ভয় পেয়ে যাই। এবং স্যারদের বললে আমাদের হাসপাতালে পাঠায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে নলকূপ পরিদর্শন করে বিষের গন্ধ যুক্ত ও সাদা পানি বের হতে দেখা যায়। এরপর পানি পান করা দুই জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে খবর দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সুস্থ রয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে বিদ্যালয়টির নলকূপ পরিদর্শন করে পানির নমুনায় বিষের গন্ধ ও লক্ষন দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে বোতল জাত বিষ নলকূপের পানির মধ্যে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। ওই নলকূপের পানির নমুনা বোতলে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে ওই নলকূপের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশাত তাসনীন বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালেই ভর্তি রাখা হয়েছে। তারা এখন সুস্থ রয়েছে। বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিউল আযম খাঁন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সদ্য যোগদান করা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তবে বিষয়টি জানতে পেরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ইউএনও বরাবর লিখত আবেদন করতে বলেছেন। পরবর্তীতে তদন্ত করে এর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানান।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার বলেন, ঘটনাটি শুনতে পেয়ে সেখানে পুলিশ এবং জনস্বাস্থ্য দপ্তরেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন। এখন পুলিশ আইনগতভাবে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য