লালপুরে জেলার প্রথম স্মার্ট শ্রেণি কক্ষ লুব্ধক
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে করিমপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে স্মার্ট ক্লাসরুম 'লুব্ধক'।
সোমবার (৭ আগস্ট ২০২৩) স্মার্ট ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাইবার সিকিউরিটি শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সামিউল আমিন।
গত ১৮ মে ২০২৩ 'লুব্ধক' নামক স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ লালপুরের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ব্যবহার করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত, সমৃদ্ধ 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হিসেবে গড়ে তুলতে ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত জ্ঞান লাভ করতে পারে এবং স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে তাই উপজেলা প্রশাসন, লালপুর কর্তৃক ‘লুব্ধক’ নামক এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যার মাধ্যমে যক্রমে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ
ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী একটি শ্রেণি কক্ষ স্বল্প ব্যয়ে সাজানো/প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা লাভ করতে পারছে।
লালপুর উপজেলার করিমপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শ্রেণি কক্ষে 'লুব্ধক' বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় শ্রেণিকক্ষটির সিলিং ও দেওয়ালগুলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন প্রযুক্তি নির্ভর ছবি ও বর্ণনা দিয়ে আকর্ষনীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। শ্রেণিকক্ষটিতে AR ও VR ডিভাইস, ড্রোন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স সমৃদ্ধ রোবট, স্মার্ট মনিটর, উচ্চগতির ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কিত অন্যান্য ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেই অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করতে পারছে।
প্রযুক্তিনির্ভর এই উদ্ভাবনটির ফলে শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের সৃজনশীল, দ্রুতচিন্তার অধিকারী ও সমস্যা সমাধানে দক্ষ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠছে।
এভাবেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বল্প ব্যয়ে প্রস্তুতকৃত শ্রেণিকক্ষে উন্নততর প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছে এবং স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে উঠছে। যারা ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। লালপুর উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে একই মডেলে লুব্ধক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটির মাধ্যমে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও উদ্যোগটি অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। লুদ্ধক শ্রেণিকক্ষে আনন্দের সাথে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী উপাদান দ্বারা প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য