logo
news image

বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জালালউদ্দিন তুহিনের মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বপন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঈশ্বরদী বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তুহিন নিজেকে ১৯৯৪ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বরের মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দাবি করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।


স্বপন আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর এই জঘন্য হামলার বিচার হলেও থেমে থাকেনি এ নিয়ে নানা মিথ্যাচার। এই মিথ্যাচার যদি আওয়ামী লীগের নাম ধারণ করে কেউ প্রদান করে, তবে তা আরও উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে। আমরা বিশেষভাবে ল করছি জালালউদ্দিন তুহিন নামের এক নব্য আওয়ামী লীগ নেতা সম্প্রতি ঈশ্বরদী বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নিজেকে ১৯৯৪ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বরের মিছিলের নেতৃত্ব-স্থানীয় বলে দাবি করেছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে সেদিনের মিছিলে তিনি কখনই ছিলেন না, এমনকি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তাই এতোদিন পর ২৩শে সেপ্টেম্বরে তার ভূমিকা নিয়ে তিনি যে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কাল্পনিক বক্তব্য রেখেছেন, তা ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগের রাজনীতির ইতিহাস বিকৃতির শামিল বলে আমি মনে করি। এই মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে তিনি মূলত: তার অশুভ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চেয়েছেন। তদুপরি তরুণ প্রজন্মকে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন। একইসঙ্গে সেদিনের মিছিলে অংশগ্রহণকারী ত্যাগী নেতা-কর্মী, যারা প্রকৃত অর্থে আহত হয়েছিলেন তাদের অবদানকে তিনি অশ্রদ্ধা, অবমূল্যায়ন এবং অস্বীকার করেছেন। একারণে আমি তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং এহেন বক্তব্যের কারণ অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে একান্তভাবে দাবি জানাচ্ছি।

১৯৯৪  সালের ২৩শে সেপ্টেম্বরের স্মৃতি রোমন্থন করে মিজানুর রহমান স্বপন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দিন। বিশেষ করে ঈশ্বরদীর রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এটি একটি ঘৃণিত এবং লজ্জার দিন। এদিন উত্তরাঞ্চলের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। এদিন ঈশ্বরদী  রেলওয়ে স্টেশনে তাঁর একটি পথসভায় বক্তব্য প্রদানের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশনে প্রবেশকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ট্রেনটি ল্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ এবং বোমাহামলা করে। এই বর্বরোচিত হামলা সেদিন দেশবাসীকে হতবাক করে। সেদিনের পথসভা সফল করতে ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের যোগদানকালে তাদের ওপরে গুলি, বোমা এবং রেলের পাথর নিক্ষিপ্ত হয়, যা একটি বীভৎস এবং নজীরবিহীন ঘটনা। এসময় আমিসহ, শরিফুল হাসান আরিফ (সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ), এমদাদুল হক এমদাদ (সাবেক ভিপি, ঈশ্বরদী কলেজ ছাত্রসংসদ), জমিদার হোসেন জনি (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ঈশ্বরদী কলেজ ছাত্রলীগ), মাসুদুল হাসান আক্কাস (সাবেক যুগ্মসম্পাদক, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগ), মোখলেছুর রহমান রিপন (সাবেক সদস্য, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগ) সহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।

সাম্প্রতিক মন্তব্য