মিশরে তৃতীয় পরমানু বিদ্যুৎ ইউনিটের কাজ শুরু
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
মিশরের প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এল-দাবা এনপিপি’র তৃতীয় ইউনিটে প্রথম কংক্রীট ঢালাইয়ের মাধ্যমে ৩ মে, ২০২৩ মূল নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে রাশিয়া। এরআগে গত ২৯ মার্চ, ২০২৩ মিশরের পারমানবিক ও রেডিওলজিক্যাল নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ এই ইউনিটের নির্মাণ অনুমোদন প্রদান করে। রসাটমের গণমাধ্যম শাখা প্রেরীত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মিশরের পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আগমেদ এল-ওয়াকিল বলেন, "গত বছর এই প্রকল্পে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনে সমর্থ হয়েছি, যার মধ্যে আছে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটে ফার্স্ট কংক্রীট এবং প্রথম ইউনিটের জন্য কোর ক্যাচার ডেলিভারি গ্রহণ"।
এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ড. আলেক্সান্ডার কোর্চাগিন জানান, ভিভিইআর ১,২০০ ডিজাইন ভিত্তিক পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর ফলে এল-দাবা প্রকল্পের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখেই, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির উৎপাদন সমন্বয় এবং কর্মীদের নিয়ে কোর টীম গঠন সম্ভব হয়েছে।
এল-দাবা মিশরের প্রথম ও একমাত্র পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, যা কায়রো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমধ্যসাগর উপকূলে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পে ৩ প্লাস প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর ১২০০ চূল্লী ভিত্তিক চারটি ইউনিট থাকবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১,২০০ মেগাওয়াট।
রাশিয়ার রসাটমের প্রকৌশল শাখা জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান ছাড়াও রাশিয়া প্রকল্পটির পুরো আয়ুষ্কাল জুড়ে জ্বালানী সরবরাহ, মিশরের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল প্রশিক্ষন, প্রকল্পটির প্রথম দশ বছর অপারেশন্স ও সার্ভিসিং সেবা প্রদান করবে। এছাড়াও স্পেন্ট ফুয়েল সংরক্ষানাগার নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় কাস্ক সরবরাহ করবে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য