logo
news image

জমি সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষ: আহত ৬ নারীসহ গ্রেপ্তার ৩

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। আহতদের ৫জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৬ মার্চ ২০২৩) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের সালামপুর শেরপাড়া শেরপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের সালামপুর শেরপাড়া গ্রামের মো. আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (৫০), সামসের আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), মো. জিয়ারুল ইসলাম (২৬) ও মো. জিল্লুর রহমান (৩০), আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলামের (২৮) ও রবিউল ইসলাম (২৮)।
এ ঘটনায় আহত আমিরুল ইসলামের চাচাত ভাই মৃত সামসের আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৫০) বাদি হয়ে নামীয় ১০জনসহ অজ্ঞাত আরও ৫ জনের নামে মামলা করেছেন। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ছোট শেরপাড়া মো. তাছেম আলীর স্ত্রী মোছা. জাহাতন (৫২), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. সাইফুিদ্দন এহিয়া বাবু (৪৯) ও মৃত মজিবর আলীর ছেলে মো. মজনু আলী ঋত্তিক (২০)। সোমবার (২৭ মার্চ) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়ারিসদের জমি ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই ওই গ্রামের আমিরুল ইসলাম ও তাছেম আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে এনিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
রোববার (২৬ মার্চ ২০২৩) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আড়বাব ইউনিয়ন শেরপাড়া গ্রামের  (সুন্দরগাড়া মৌজা) আমিরুল ইসলামের জমিতে লাগানো গম তাছেম আলীর লোকজন জোরপূর্বক মেশিন দিয়ে কাটিতে শুরু করলে নিষেধ করায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে উভয় পক্ষের গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এলাকাবাসী জানায় সংঘর্ষের সময় ২ থেকে ৩ রাউন্ড গুলি বর্ষনের শব্দ শোনা গেছে। তাদেরকে আত্মীয়-স্বজন স্থানীয়দের সহায়তায় তাৎক্ষণিক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমেই লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, গুরুতর জখম আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, জিয়ারুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও জিল্লুর রহমানকে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে আমিরুল ইসলামের নাক কেটে পড়ে গেছে। অন্যদের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মো. তাছেম আলীর স্ত্রী মোছা. জাহাতন (৫২) তারা নিজের জমিতে ফসল কাটছিলেন দাবি করে বলেন, গত বছর জমির ফসল কাটতে গেলে তাদেরকে মারধর করে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় জাকির হোসেন বাদি হয়ে নামীয় ১০জনসহ অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা করেছেন। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব বলেন, সংঘর্ষের পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য