স্কুলছাত্রী অপহরণের অভিযোগে যাবজ্জীবন
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের প্রায় ১৩ বছর পর অভিযুক্ত রনি আহম্মেদ (৩৩) নামে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৩) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
দণ্ডিত যুবক উপজেলার কুজিপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার সময় তাঁর বসয় ছিল ২০ বছর।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে অপহৃত ছাত্রীর বান্ধবী, তার ভাই রনি আহম্মেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। দুই দিন পর পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে সে আদালতে জবানবন্দি দেয়, তাকে সীমান্তবর্তী একটি স্থানে আটক করে রাখা হয়েছিল।
ঘটনাটি তদন্ত করে লালপুর থানার উপপরিদর্শক জামাত আলী ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল শুধু রনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসে। ছয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে রনি আহম্মেদ জামিনে বের হয়ে পলাতক হন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার সাইফুল ইসলাম বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে অপহরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত রনি আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, পলাতক রনিকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁর সাজা কার্যকর হবে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য