রাজশাহীতে সর্বকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে-মিনু
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, মানুষ আর আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। চাল, ডাল, আটা, তেলসহ নিত্যপয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে জনগণ অসহায়। এ কারণে জনগণ এ ব্যর্থ সরকারের প্রতি ইতোমধ্যে অনাস্থা জানিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর ২০২২) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর একটি কমিউিনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহীতে বিএনপির সর্বকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান ছাড়িয়ে রাজশাহী সমাবেশের মহানগরীতে পরিণত হবে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগম হবে। কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষ এ সমাবেশে যোগ দেবেন। দেশে পরিবর্তন আসবে। সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছে বিএনপি। যত বাধা তত উত্তাপ ও তত লোক সমাগম। রাস্তা পথে যতই বাধা আসুক কোন বাধাই জনগণকে রুখতে পারবে না। সকল বাধা অত্রিক্রম করে জনগণ বিএনপির গণসমাবেশ স্থল মাদ্রাসা মাঠসহ পুরো রাজশাহী মহানগরী প্রবেশ করে কানায় কানায় ভরে তুলবে।
মিনু বলেন, ‘১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের জনগণ পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার ধরেছিল। ১৯৮৯ সালে ঢাকার রাজপথে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবার রাজপথে আরেকটি বিপ্লব হবে।’
মিনু বলেন, দেশে এখন চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সবকিছুর দামে আগুন। সাধারণ মানুষ বাজারে যেতে পারে না। মন্ত্রী-এমপিরা ৭০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। তাই গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে হবে স্ট্রাইকিং মিটিং।
রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের মিডিয়া সেলের আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপু মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। গণসমাবেশে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব আতিকুর রহমান রুম্মন গণসমাবেশে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের জন্য পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব আতিকুর রহমান রুমন জানান, রাজশাহীর সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটবে। সরকার পরিবহন ও ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই মিডিয়া কাভারেজের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাইস্পিডের আন্ডারগ্রাউন্ড ইন্টারনেটের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
অন্যান্য সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র কওে সা¤প্রতিক সময়ের রাজশাহী জেলায় নেতৃবৃন্দের নামে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ তুলে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতা অ্যাভোকেট মিলনের কাছে ৪ থেকে ৫ টা কেসের নোটিশ চলে গেছে। জেলার মোহনপুর উপজেলায় কেসের আসামী ৬ থেকে ৭ জনের নাম সহ অজ্ঞাত ২০০ জন করে মামলা করা হচ্ছে। এমন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৯ টি উপজেলা নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃংখলাবাহিনীর পক্ষ থেকে। কেউ যেন সমাবেশে না আসতে পারে। সেই সাথে প্রত্যেক নেতাকর্মীদের বাড়িতে তারা যাচ্ছেন এবং সমাবেশে না যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন বলে উল্লেখ করেন তারা। এ বিষয়গুলো মিডিয়াতে তুলে ধওে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত খালেদ, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ, সাবেক এমপি জাহান পান্না, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমীন পুতুল, মাহমুদা হাবিবা, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুনসহ মিডিয়া কমিটির অন্যান্য সদস্য ও সাংবাদিকগণ।
সাম্প্রতিক মন্তব্য