ইঁদুর মারার ফাঁদে এনজিও কর্মীর মৃত্যু
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে জমিতে ইঁদুর মারা বিষ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দীপক কুমার সরকার গনেশ (৪৫) নামে এক এনজিও কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রোববার (৯ অক্টোবর ২০২২) ভোর রাত সোয়া ২টায় নিহতের ভাই শ্রী ললিন সরকার (৬২) বাদি হয়ে মহেশ্বর পুরাতনপাড়া গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে মো. আহাদ (৫৫) ও তাঁর ছেলে মো. আকরাম (৩০) দুই জনের নামে থানায় মামলা করেছেন।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের টিটিয়া গ্রামের মৃত নরেন কুমার সরকারের ছেলে। তিনি নিউ এরা ফাউন্ডেশন নামে এনজিওতে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী অঞ্জলী রানী সরকার বলেন, অফিস ছুটি থাকায় তাঁর স্বামী দীপক কুমার সরকার গনেশ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ধানের জমিতে স্প্রে মেশিন দিয়ে বিষ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যার পরেও বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন আশেপাশে খোজাখুজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানের জমির উত্তর আইলে এবং মহেশ্বর পুরাতনপাড়া গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে মো. আহাদ (৫৫) ও তাঁর ছেলে মো. আকরামের (৩০) জমির দক্ষিন আইলের ওপর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই জমির মালিকদের জমির আইলের উপর গুনাতারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।
মামলার বাদি নিহতের ভাই শ্রী ললিন সরকার বলেন, কাউকে কিছু অবগত না করে যে কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে জেনেও অবহেলা করে তাদের জমির আইলের উপর গুনা তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখায় তাঁর ভাই দীপক রঞ্জন সরকার গণেশের মৃত্যু ঘটিয়েছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লালপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রেজাউল করিম খান বলেন, নিহতের পাশের জমির মালিক আকরাম হোসেন ইঁদুর মারার জন্য খোলা জিআই তার দিয়ে ফাঁদ পেতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন। বিষ দিয়ে ফেরার পথে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অনিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে প্রাণহানি ঘটছে। এ ব্যাপারে গ্রাহকদের সচেতন করতে সমিতির পক্ষ থেকে উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য