ঈশ্বরদীতে দোকান ভাংচুর ও লুটপাঠের অভিযোগের প্রতিবাদ
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে পাবনা-৪ আসনের এমপি’র ব্যক্তিগত সহকারি রাজন মালিথার বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও মালপত্র লুটের অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রবিবার (৭ আগস্ট) রাতে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে আয়োজিত জণাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিতভাবে সাজানো মিথ্যা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে যাচাই-বাছাই না করে দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদ জানান, এপিএস রাজনের শ্বাশুড়ি শারমনি আক্তার, খালা শ্বাশুড়ি ফেরদৌসি বেগম, অলিফা খাতুন, মামা শ্বশুর আবু তাহের, তৈমুর রহমানসহ আরো আত্মীয়রা।
লিখিত বক্তব্যে মামা শ্বশুর আবু তাহের জনান, ঈশ্বরদীতে ফকিরের বটতলায় ‘কারুপল্লী’ প্রতিষ্ঠানটি অন্যায় ও অবৈধভাবে চার বোনকে জমি দখল করে দীর্ঘদিন ব্যবসা চালিয়ে আসছিল ভাই আবুল বাশার ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তার। পারিবারিক ভাগ-বাটোয়ারায় জমিটি কাগজে কলমে বোনদেরকে দিলেও সরেজমিনে বাশার নিজেই দখল করে ছিলো। দখলদার বিভিন্ন সময়ে বোন এবং ভাই-ভাতিজাদের হয়রানিও করেছেন। ঘটনার দিন আবুল বাশার নিজে উপস্থিত থেকে মালামাল তার বাড়িতে নিয়ে যায়। যা এখনও ঘরে তালাবদ্ধ রয়েছে। সম্পূর্ণ পারিবারিক কলহকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করে আমাদের জামাই রাজনের সম্মান ক্ষুন্ন এবং বোনদেরকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে।
এসময় এপিএস রাজনের বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও মালপত্র লুটের অভিযোগকে মিথ্যা বানোয়াট এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আবু তাহের বলেন, রাজন ওই ঘটনাস্থলে কোন সময়েই উপস্থিত হয়নি। এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়, এতে এমপি’র পিএস রাজনের সংশ্লিষ্ঠতা নেই।
এবিষয়ে অভিযোগকারী আবু বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, উভয়পক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনা পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে। উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য