logo
news image

মুজিবশতবর্ষ উপহার জমি ও ঘর পেলেন ১০৫ জন

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ১০৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নতুন করে জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছেন। উপজেলায় ৪৭৪ জনের আবাসনের ব্যবস্থা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও ৩৫০ জনের আবাসনের মাধ্যমে ভূমিহীন (ক শ্রেণি) ও গৃহহীন পরিবার মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই ২০২২) একযোগে সারা দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও শামীমা সুলতানার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বষাক, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোকসানা মোর্তুজা লিলি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাবনী সুলতানাসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, দেশব্যাপি ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক শ্রেণির) পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষে ২০১৯ সাল থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। উপজেলায় প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার পাচ্ছেন দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর; সাথে বিদ্যুৎ সংযোগসহ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্যও রয়েছে ঘর প্রদান প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ৪২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি, ৩য় পর্যায়ের ১৪২টি পরিবার এই সুবিধা পাবেন।
ইউএনও শামীমা সুলতানা বলেন, ২০২০ সালের তালিকা অনুযায়ী উপজেলায় ভূমিহীন (ক শ্রেনির) ও গৃহহীনের সংখ্যা ৪৭৪ জন। প্রথম পর্যায়ে ৩৭ জন গৃহহীন ২ শতক খাস জমিসহ মুজিব শতবর্ষের একক গৃহ পেয়েছেন। পদ্মার চরের রসুলপুর মৌজার ৯ দশমিক ৫০ একর খাস জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত রসুলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি ব্যারাকে ২৪০টি ভূমিহীন পরিবারের আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল-১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল-১ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং ৩য় পর্যায়ে বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এই প্রকল্পের কার্যক্রম আরও টেকসই ও মজবুত করার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top