logo
news image

ইমো হ্যাকিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে অভিযান চালিয়ে ইমো হ্যাকিং প্রতারক চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৫ মে ২০২২) দিবাগত রাতে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের চকবাদকয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. শামসুজ্জোহা, তৌফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসাইন, হুমায়ুন কবির, এএসআই শাহ আলম কিরন ও ইকবাল হোসেন উপজেলার বিলাড়িয়া ইউনিয়নের চকবাদকয়া অভিযান চালিয়ে উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. রায়হান আলী (২৯), মো. দুলাল উদ্দিনের ছেলে মো. পলাশ আলী (২৫), ছোট বাদকয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. কাওছার (২০), মনিহারপুর গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল হোসেন (২৩), গন্ডবিল গ্রামের মো. আদম আলীর ছেলে মো. রাজু হোসেন (২২), মো. জাহিদুল ইসলামের ছেলে মো. নাইম ইসলাম (২২) এবং রহিমপুর গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে মো. সাগর আহম্মেদকে (১৬) গ্রেপ্তার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ৪/৫ জন পালিয়ে যায়। এ সময় ৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, পরস্পরের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্রবাসীসহ বিভিন্ন প্রান্তে ইমো সফটওয়্যারে অবৈধ প্রবেশ পূর্বক একাউন্ট হ্যাক করে আসছেন। পরিচয় গোপন করে নারী ও পুরুষের ছদ্দবেশে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে অর্থ আদায় করে আসছেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩/২৪/৩৪/৩৫ ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃতদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদের গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ লালপুরে ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত মামলার আদেশের প্রেক্ষিতে ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ লালপুর থানায় মামলা করে পুলিশ।

সাম্প্রতিক মন্তব্য