তুর্কী এনপিপি’র কুলিং ওয়াটারের জন্য নির্মীত হচ্ছে উপকুলীয় স্থাপনা
বিশেষ প্রতিনিধি:
তুরষ্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আকুইয়ু এনপিপি’র প্রথম ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় কুলিং ওয়াটার সরবরাহের লক্ষ্যে ভূমধ্যসাগরীয় উপকুলে নির্মীত হচ্ছে বিশেষ স্থাপনা। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি নিষ্কাশন চ্যানেল ও সাইফুন কুপের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে এনপিপি’র যন্ত্রপাতি শীতলীকরণের পর লবনমূক্ত সমুদ্রের পানি নিষ্কাশন সম্ভব হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রিয় পারমাণবিক সংস্থা রসাটম প্রেরীত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ডেনসার এবং অন্যান্য শীতলীকরণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত পানি সাইফুন কুপে এসে জমা হয়। এখানে পানির মিশ্রণ ঘটে এবং তাপমাত্রা স্থিতিশীল হবার পর নিষ্কাশন চ্যানেলে পাঠানো হয়। সাইফুন কুপ নির্মাণে ব্যবহৃত হবে ১৭,৬০০কিউবিক মিটার কংক্রীট মিশ্রণ। অন্যদিকে ৯৫০মিটার দীর্ঘ নিষ্কাশন চ্যানেল নির্মানে প্রয়োজন পড়বে ৪০,০০০কিউবিক মিটারেরও বেশি কংক্রীটের মিশ্রণ। উল্লেক্ষ্য প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটে সাইফুন কুপের নির্মান কাজ সমান তালে এগিয়ে চলছে।
আকুইয়ু নিউক্লিয়ারের প্রধান নির্বাহী আনাস্তাসিয়া জ্যোতিয়েভা বলেন, “উচ্চ প্রযুক্তির জটিল এই উপকূলীয় স্থাপনা তুর্কী এবং রুশ বিশেষজ্ঞদের অনন্য নকশায় নির্মীত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এনপিপি’র থার্মাল এবং মেকানিক্যাল সকল যন্ত্রপাতির জন্য প্রয়োজনীয় কুলিং ওয়াটার নিশ্চিত হবে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে লবনাক্ত সমুদ্রের পানি রিয়্যাক্টরে সরাসরি ব্যবহার করা হয় না। লবনমূক্ত পানি টার্বাইনের কন্ডেনসারে প্রবেশ করে সেকেন্ডারী সার্কিটের বাষ্পকে শীতল করবে কিন্তু রেডিয়েশন দ্বারা প্রভাবিত হবে না”।
সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে আকুইয়ু এনপিপি’র মূল যন্ত্রপাতি শীতলীকরণের জন্য এই হাইড্রোলিক স্থাপনা নির্মীত হচ্ছে। এই স্থাপনার অংশ হিসেবে একটি ওয়াটার ইনটেক ব্যবস্থা থাকবে যা প্রতি সেকেন্ডে ৩৩৪কিউবিক মিটার পানি সরবরাহ করবে। এটির ৯টি কংক্রীট নির্মীত চ্যানেল ও একটি জলাধার থাকবে। এনপিপি’র শীতলীকরণ ব্যবস্থায় ব্যবহারের পর ১০টি ফাইবার গøাস দ্বারা নির্মীত চ্যানেলের সাহায্যে পানি আবার সমূদ্রে ফিরে যাবে। প্রতিটি পাইপের ব্যাস হবে ২-৪মিটার এবং পাইপগুলোর মোট দৈর্ঘ হবে ১০কিমি।
যেহেতু এনপিপি’তে প্রথম সার্কিটের পানি (রেডিয়েশনযুক্ত) সেকেন্ডারী সার্কিটের সংস্পর্শে আসতে পারে না, সেহেতু সমূদ্রে নির্গত পানিতে কোন রেডিয়েশন থাকার সম্ভাবনা নেই।
আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৪টি ইউনিট নির্মীত হবে প্রতি ইউনিটে থাকবে একটি করে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর। বর্তমানে প্রকল্পটি ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী মেরিন প্রদেশে বাস্তবায়নাধীন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য