logo
news image

তৃনমূলের সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান সবুজ যুবলীগের সদস্য প্রার্থি

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ

আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের পরীক্ষিত মুজিব আদর্শের সৈনিক, ও তৃনমূল থেকে উঠে আসা সাবেক ছাত্রনেতার নাম শহীদুল ইসলাম ( দেওয়ান সবুজ)যুবলীগের কমিটির সদস্য প্রার্থি । সুসময়- দুঃসময়ে দলের জন্য কাটিয়েছেন যৌবনের ২ যুগেরও বেশি সময়। এবার উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটিতে সদস্য পদ প্রত্যাশা করে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন দেওয়ান সবুজ।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি ও যুগ্ন আহ্বায়ক শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় যুবলীগের পরামর্শক্রমে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষে আহ্বায়ক, যুগ্ন আহ্বায়ক ও সদস্য পদপ্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। এরপরই মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের কাছে এ জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন তিনি।

শহীদুল ইসলাম দেওয়ান সবুজের রাজনৈতিক অবস্থানঃ

শহীদুল ইসলাম (দেওয়ান সবুজ) ১৯৯১ সালে তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতি মীর জহুরুল হক পুনো'র হাত ধরে নৌকা মার্কার জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রথম রাজপথে যাত্রা শুরু করেন। ঈশ্বরদীতে জামাতের দূর্গ সলিমপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে জামাতের এমপি প্রার্থী নাছির মাওলানার বিরুদ্ধে কবিতা লেখা , পোষ্টার লাগানো ও ভোট চাওয়াতে তাকে মারধর করা হয়।

এরপর ১৯৯৩ সালে সলিমপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এবং ১৯৯৫ সালে সহ - সভাপতি নির্বাচিত হন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালে সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। দক্ষ ও মুজবীয় আদর্শ ধারন ও লালন করে দলের দুঃসময়ে জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা রাখায় ২০০২ সালে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ দেওয়া হয়। ইউনিয়ন ও উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন কালে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ওয়ার্ডে পদচারণার সুযোগ হয় তার। সেসময় তার হাত ধরেই শত শত মুজিব সৈনিক -ছাত্রনেতা তৈরী হয়। তার কার্যক্রমে ২০০৭ সালে উপজেলা ছাত্রলীগ তাকে সাংগাঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করার প্রস্তাবনা করেন।

১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্ধে তৎকালীন সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হকের সাথে হাতে গোনা মানুষ নিয়ে অসংখ্য বার গোপন মিটিং ও রাজপথে আন্দোলন করেছেন তিনি । ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব স্কুলে আগমন উপলক্ষে , আলহাজ্ব মোড় হতে নতুনহাট পর্যন্ত দেওয়ালে চিকা লেখেন তৎকালীন সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ - সভাপতি মমিনকে সাথে নিয়ে , যার সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তৎকালীন জনপ্রিয় নুরুল ইসলাম মেম্বর ।

২০০২ সালে ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাদী হয়ে ২ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং অপারেশন ক্লিনহার্টে আটক দেওয়ান সবুজ পাবনা জেলা কারাগারে যান। সেখানে পরিচয় হয় ২ নং রুমে পাশাপাশি থাকা বর্তমান পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি মহোদয়ের সাথে ।

১/১১ এর সময় নেত্রী আটক হলে ঈশ্বরদীর জয়নগরে মিছিল সহ ২০১৩/১৪ সালে জামাত - বিএনপির জ্বালাও পোড়াও ও গাছ কেটে রাস্তা অবরোধের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনের নেতৃত্ব ও মামলার স্বাক্ষী হন তিনি।

রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে নিয়মিত ঈশ্বরদী হতে মোটরসাইকেল যোগে ঢাকা গণজাগরণ মঞ্চে যোগ দেন তিনি। ২০১১ সাল হতে রাজাকার ও সাম্প্রদায়িকতা , গুজব , মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে , মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় , বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জন নিয়ে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক , টুইটার ,  গুগুল প্লাস (Dewun green) ও ব্লগে ( অর্ধ চন্দ্ৰ ) আইডির মাধ্যমে কবিতা , কলাম , ইতিহাস , বাস্তব চিত্র ও যুক্তি দিয়ে গোটা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন দেওয়ান সবুজ।

২০১৫ সালে " আমাদের বুনোফুল " নামে শ্রমজীবী ও স্কুল বিমুখ শিশু কিশোরদের নিয়ে সামাজিক শিক্ষার আসর শুরু করে , এবং প্রতি ১০০ জনকে মোটিভেট করে খাঁটি মুজিব আদর্শের অকুতোভয় সৈনিক হিসাবে তৈরি করেছেন তিনি। বর্তমানে তা চলমান রয়েছে ।

বিশেষ করে ১৯৯১ হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ যখন বিরোধী দলে থেকেছে সেই ৫ বছর ঈশ্বরদীর রাজপথে সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি , যা সর্বজনীন স্বীকৃত । সকল জাতীয় নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেশের উন্নয়নের প্রকৃতচিত্র তুলেধরে ও জামাত বিএনপির গুজব এবং মিথ্যাচারের প্রমান দিয়ে , নৌকার ভোট করেছেন তিনি ।

রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংবাদিকতা জগতেও তার পদচারনা রয়েছে তার সাংবাদিকতায় ২০০২ থেকে শুরু, বর্তমানে জাগ্রত সকাল পত্রিকার সম্পাদক ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় ইংরেজি দৈনিক daily glory morning পত্রিকার ঈশ্বরদী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে ঈশ্বরদী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আমাদের বনফুল সামাজিক শিক্ষা আসরের পরিচালক ও খেলাঘর ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটি বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নাগরিক মঞ্চ ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সদস্য ও ঈশ্বরদী রয়েল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পারিবারিক রাজনৈতিক তথ্যাবলিঃ

সবুজ দেওয়ানের পিতা মৃত মতিয়ার রহমান দেওয়ান , সলিমপুর ইউনিয়নের ০৭ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন। তার (সবুজ দেওয়ানের) চাচা বড় মৃত আকতার হোসেন দেওয়ান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার আরেক চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন দেওয়ান ছিলেন আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী। ২০১০ সালে তিনি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ - সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার আরেক চাচা আকবর হোসেন দেওয়ান , ১৯৯৭ সালে তৎকালিন সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও দর্শন বিভাগ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০০ সালে তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগ- প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তার (সবুজ দেওয়ানের) বড় ভাই দেওয়ান আবুল হাশেম ১৯৯০ সালে সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং খেলাঘর ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটি সভাপতি ছিলেন । তার আরেক ভাই শাহীনুজ্জামান আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।

সবুজ দেওয়ানের স্ত্রী নাজনীন আক্তার যুথি , সলিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাবেক মহিলা সম্পাদিকা ও শেখের দাঁইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এক সাক্ষাতকারে শহীদুল ইসলাম দেওয়ান সবুজ বলেন, আওয়ামী লীগের ৪ টি মূলনীতির পরিপূর্ণতা ও রাজাকার- জামাত শিবির মুক্ত সমাজ গড়ার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে চায় । স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সর্বদা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ । যোগ্য পিতার যোগ্য উত্তরসূরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , গণতন্ত্রের মানস কন্যা মমতাময়ী মা , দেশরত্ন শেখ হাসিনর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে “ রুপকল্প ভিশন -২০৪১ ” বাস্তবায়নের জন্য সর্বদা বাংলাদেশ মুজিব সৈনিক হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি, আগামীতেও কারবো ইনশাল্লাহ্। আমি গর্বিত কারণ আমি নিজ হাতে স্কুল কলেজ , রাস্তা ঘাটে , মাঠে ময়দানে , মঞ্চে ও বাড়িতে গিয়ে অসংখ্য মুজিবীয় আদর্শের সৈনিক ও ভোটার তৈরি করেছি এবং আমৃত্যু করে যাবো ।

 

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top