logo
news image

লালপুরে টিসিবির পণ্য পাবেন ১৫ হাজারের অধিক মানুষ

ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়ায় সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তেল, ডাল, চিনি ও ছোলা খোলাবাজারে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আগামী ২১ ও ২২ মার্চ ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্রথম পর্বে ১৫ হাজার ২৫১ জন টিসিবির পণ্য ২ কেজি করে তেল, ডাল ও চিনি কিনতে পারবেন। রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্বে এর সাথে যুক্ত হবে ছোলা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৯৬ জন ও গোপালপুর পৌরসভায় ২ হাজার ১৬০ জন মোট ১৫ হাজার ২৫১ জন টিসিবি পণ্য কিনতে পারবেন। এরমধ্যে লালপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৯৩৩ জন, ঈশ্বরদীতে ১ হাজার ২৩১ জন, চংধুপইলে ১ হাজার ৪১১ জন, আড়বাবে ১ হাজার ৫৬২ জন, বিলমাড়িয়ায় ১ হাজার ৭৩ জন, দুয়ারিয়ায় ১ হাজার ৩৯০ জন, ওয়ালিয়ায় ১ হাজার ৩৮৩ জন, দুড়দুড়িয়ায় ১ হাজার ৩১০ জন, অর্জুনপুর-বরমহাটিতে ৭৫২ জন এবং কদিমচিলান ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৬ জন কার্ড পেয়েছেন।
লালপুরের টিসিবি ডিলার শান্ত সরকার বলেন, তিনি দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়িয়া ও ঈশ্বরদী এই তিন ইউনিয়নে পণ্য বিক্রি করবেন। ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে  প্রথম পর্বে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। দ্বিতীয় পর্বে রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে এর সাথে ৫০ টাকা দরে ২ কেজি ছোলা যুক্ত হবে।
ওয়ালিয়া ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মোছা. শান্তি বেগম বলেন, কম দামে তেল, ডাল, চিনি ও ছোলা কিনতে পারবেন জেনে আনন্দিত। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন।
লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খোলাবাজারে কিনতে পারলে স্বস্তি পাবে। প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক কার্ড দেওয়া হলেও অধিক দরিদ্রদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় ১৫ হাজার ২৫১ জন টিসিবির পণ্য কিনতে কুইক রেসপন্স কোড (কিউআর কোড) যুক্ত ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রতারণা ঠেকাতে বিক্রিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ৬ সদস্যের ১১টি ট্যাগ টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে একজন সরকারি কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, একজন ইউপি সদস্য, একজন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত তদারকি করবেন।
ইউএনও তিনি আরও বলেন, ফ্যামিলি কার্ড স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান/মেয়র ও ইউপি সদস্য/ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তালিকা অনুযায়ী হয়েছে। কার্ডধারী ভোক্তারা ছাড়া কেউ ডিলারদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারবেন না। তবে কোন কার্ডধারী ব্যাক্তি অনুপস্থিত থাকলে ট্যাগ টিম যাচাই-বাছাই করে অন্য কোন দরিদ্র ব্যাক্তিকে ওই পণ্য দিতে পারবেন। ট্যাগ টিম সুষ্ঠুভাবে পণ্য বিক্রি সংক্রান্ত দিনের প্রত্যয়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। লালপুরের ২ জন ও নাটোরের ২ জন মোট ৪ জন টিসিবি ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে।
লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে ১ কোটি মানুষকে স্পেশাল কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। টাকা প্রাপ্ত ৩৮ লাখ ছাড়াও আরও ১ কোটি লোককে টাকা দেবেন। তা ছাড়া ৫০ লাখ মানুষ মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারছেন। কম মূল্যে টিসিবি পণ্য মানুষের কষ্ট লাঘক করবে। পরিবারে শান্তি বিরাজ করবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top