logo
news image

ভোজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের একুশ

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ভোজনের মধ্যেই পালিত হলো মহান একুশ। সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থির এই কলেজের শহীদ বেদীতে পড়েছে মাত্র এটি পুষ্পার্ঘ্য। নেই কোন আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে ভোজনের কমতি ছিলো না। ৮০টি প্যাকেটে খাবার এনে ভুরিভোজ হয়েছে ঠিকই।


সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজের শহীদ বেদীতে মাত্র একটি পুষ্পস্তবক রয়েছে। বৃহত্তম এই কলেজে অনার্সে ১৪ টি বিভাগ রয়েছে। একজন করে হলেও প্রত্যেকটি বিভাগে শিক্ষক রয়েছেন। বিভাগওয়ারী হিসেবে আরও ১৪টি পুষ্পস্তবক থাকার কথা।

করোনাকালীন সময়ে বিধিনিষেধ থাকলেও কলেজের কাসরুমে প্রাইভেট টিউশুনি বন্ধ নেই। প্রতিদিনই সকাল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে শিক্ষার্থী ঢুকতে আর বের হতে দেখা যায। বিভাগীয় প্রধানরা চেষ্টা করলেই ৪-৫জন শিক্ষার্থি নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে পারতেন। প্রত্যেক বিভাগ থেকে শিক্ষার্থিদের নিকট হতে গৃহীত চাঁদার টাকার ফান্ডও রয়েছে।

কয়েকমাস যাবত কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ শুণ্য রয়েছে। এক নারী সহযোগী অধ্যাপক দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে. তাঁর আর্থিক ক্ষমতা নেই।
 অধ্যক্ষ থাকলেও তিনি নিজে হাতে কিছু করেন না। শিক্ষকরাই সবকিছু করেন। তার ব্যতিক্রম হয়নি। ক্ষণিকা হোটেল থেকে আশিটি খাবারের প্যাকেট ঠিকই এসেছে।

 আশির দশকের শেষ দিকে এই কলেজ থেকে অমর একুশের দিনে একবার বনভোজনের আয়োজন করা হয়। সেসময় বনভোজন নিয়ে খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

নাম প্রকাশ না করে সরকারি করেজের সাবেক এক শিক্ষক জানান, চেতনা ও সদিচ্ছা থাকলে সবকিছু করা সম্ভব।

সাম্প্রতিক মন্তব্য