মুক্তিযুদ্ধে উদ্ধারকৃত সামগ্রী জাদুঘরে হস্তান্ত
মুক্তিযুদ্ধে উদ্ধারকৃত সামগ্রী জাদুঘরে হস্তান্তর
ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
নাটোরের লালপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় উদ্ধারকৃত পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনে ব্যবহৃত সামগ্রী খুলনাস্থ গণহত্যা-নির্যাতন সংগ্রহশালা ও যাদুঘর ট্রাস্টে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর ২০২১) জাদুঘরের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের (মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন) নিকট নির্যাতনে ব্যবহৃত নিষ্পেশন রোলার (পাইপ), চাবুক ও ধারালো অস্ত্র নিজ বাড়িতে হস্তান্তর করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকিয়াব হোসেন ও তাঁর একমাত্র মেয়ে মোছা. লুবনা সুলতানা। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ উদ্ধারকৃত পিস কমিটির ৩০ পৃষ্ঠার রেজুলেশ বহি হস্তান্তর করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন দলিল হস্তান্তরের সময় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার নিদর্শন ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরে প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশের একাত্তরের গণহত্যা-নির্যাতনের ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে দলিল হিসেবে থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা ড. মাহবুবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী শিক্ষক তাহমিনা খাতুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে এম আব্দুল্লাহ আল আমিন রাব্বী ও হাফিজ আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অধ্যক্ষ ইমাম হাসান মুক্তি, প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জালাল উদ্দীন বাবু প্রমুখ।
মো. আকিয়াব হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা আদম আলী, তোফাজ্জল হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, মহসিন-উল-হক প্রমুখসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শে মসজিদ সংলগ্ন পিস কমিটির অফিস ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় পিস কমিটির সদস্যরা পালিয়ে গেলে অফিস থেকে পিস কমিটির রেজুলেশন বহিসহ নির্যাতনের সামগ্রী উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত ৩০ পৃষ্ঠার রেজুলেশ বহি, পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনে ব্যবহৃত নিষ্পেশন রোলার (পাইপ), চাবুক ও ধারালো অস্ত্র দীর্ঘ ৫০ বছর সংরক্ষণ করে জাদুঘরে হস্তান্তর করতে পেরে খুশি হয়েছেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য