logo
news image

সাবেক প্রতিমন্ত্রী পটলের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী

ইমাম হাসান মুক্তি, প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর)
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটলের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (৯ আগস্ট ২০২১)।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ভার্চুয়াল স্মরণ সভা আয়োজন করেছে।
বিএনআরসি এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্য ও আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত ও ওবায়দুর রহমান চন্দন।
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে ১৯৪৯ সালে ২৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন ফজলুর রহমান পটল। তাঁর বাবা মরহুম আরশাদ আলী (লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন) এবং মাতা ফজিলাতুন নেছা। পাঁচ ভাই ও এক বোনের পরিবারে তিনিই ছিলেন সবার বড়। তিনি পাবন-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিনের ভাতিজা।
তিনি লালপুর উপজেলার গৌরিপুরে প্রাথমিক ও গৌরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় হতে অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে পাবনার রাধানগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যামিক পাস করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
ফজলুর রহমান পটল ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এর পর তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা হিসাবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের শাসনামলে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন, এরপর ১৯৯৩ সালে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনের পর চার দলীয় জোট সরকারের সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি লালপুরে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু তালহার নিকট পরাজিত হন। তিনি নাটোর জেলার প্রথম প্রতিমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি ১৯৮৪ সালের ১৪ মে কামরুন্নাহার শিরিনের (সাবেক অধ্যক্ষ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের বড় ছেলে ইয়াসির আরশাদ রাজন একজন চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন, ছোট ছেলে ইস্তেখার আরশাদ প্রতীক ব্যবসায়ী, বড় মেয়ে ফারহানা শারমিন কাকন গৃহীনি ও ছোট মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুল আইনজীবি।
ফজলুর রহমান পটল বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনির জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি দেশে বিদেশে চিকিৎসা নেন। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য কলকাতা যান। সেখানে রবীন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top