হত্যা রহস্য উদঘাটন-সাড়ে ৬ মাসের মাথায় আসামি গ্রেপ্তার
ইমাম হাসান মুক্তি, প্রতিনিধি, নাটোর (লালপুর):
মলম পার্টির সদস্য সুলতান হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়েছে। দুই হাজার টাকার জন্য খুন হয়েছিলেন দলের সদস্যদের হাতে। ঘটনার সাড়ে ৬ মাসের মাথায় মামলার সব আসামি গ্রেপ্তার করেছে নাটোরের লালপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট ২০২১) আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল-হাজতে পাঠানো হয়ছে।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের চোষুডাঙ্গা মাঠের একটি আখ ক্ষেতে থেকে গত ১৩ জানুয়ারি ২০২১ অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তিনি বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে সুলতান ওরফে ইমন (৪৯)। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি ২০২১ লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন তালাশ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত শুরু করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার আব্দুলপুর রেলস্টেশন থেকে মামলার প্রধান আসামি সানোয়ার হোসেন সানাকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোবারক হোসেন ওরফে মোবার ছেলে।
আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দেন সানোয়ার। তিনি বলেন, তারা সকলেই মলম পার্টির সদস্য। পাওনা দুই হাজার টাকার জন্য সানোয়ারকে কৌশলে চোষুডাঙ্গা মাঠে ডেকে নিয়ে আলম, হাসমত ও লতিফ সবাই মিলে গলা টিপে হত্যা করে বিলের একটি গম ফেলে রেখে যান।
এই তথ্য মতে, সাড়ে ৬ মাসের মাথায় গত ৪ আগস্ট ২০২১ রাতে বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলার গোদড়া গ্রামের সৈয়দ শাহের ছেলে আলম শাহ (৪৫), মৃত হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৪১) ও দিয়াড়পাড়া গ্রামের মৃত মুনসেব আলীর ছেলে হাসমত আলীকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুলতান হত্যা মামলার সব আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট ২০২১) আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য