logo
news image

লালপুর বাজারের জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি

আনোয়ারা ইমাম শেফালী * আলাউদ্দিন জালাল * মাজহারুল ইসলাম তিব্বত * এহসানুল করিম তুহিন :
নাটোরের লালপুর বাজারের জলাবদ্ধতা প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টিতে বাজারসহ আশপাশের এলাকায় পানি জমে থাকায় এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৫৩ সালের দিকে লালপুর বাজার প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৬ সালে বাজারে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়। ময়লা-আর্বজনা ফেলার কারণে ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিন মঙ্গলবার (২৯ জুন ২০২১) বৃষ্টির পর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, জলাবদ্ধতায় বাজারসহ আশপাশের এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। হাঁটু পানিতে মানুষ চলাচল করছে।
লালপুর পুরাতন বাজারের বাসিন্দা জেবউন নেছা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই লালপুর পুরাতন বাজার, আবাসিক এলাকা, উত্তর লালপুর, মন্ডলপাড়াসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
লালপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মল্লিক হোসেন জানান, জলাবদ্ধতায় ক্রেতারা বাজারে না আসায় বেচাবিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। ফুটপাতের পণ্য বিক্রেতারাও বসতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে হরতালও করেছেন।
চাউল ব্যবসায়ী মুজাহার হোসেন বলেন, এই বাজারে সহস্রাধিক দোকান রয়েছে। সপ্তাহে শনি ও বুধবার এখানে হাট বসে। প্রতিদিনই বসে বাজার।
লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী জানান, পদ্মা নদীতে লালপুর বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩৯৮ মিটার ড্রেন নির্মাণ প্রয়োজন। ইতোমধ্যে জাইকার অর্থায়নে ৪০ লাখ টাকায় ৩৪৬ মিটার ড্রেন ও দুইটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এডিপি বরাদ্দকৃত ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় আরো ৩০ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। আরো আড়াই লাখ টাকা হলে বাঁকি ২২ মিটার ড্রেন নির্মাণ সম্পন্ন করা সম্ভব। ড্রেন নির্মাণ সম্পন্ন হলে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান হবে। পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে ড্রেন পরিস্কার রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের সচেতনতার কথা বলেন।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ স ম মাহমুদুল হক মুকুল বলেন, জলাবদ্ধতা লালপুরের বাজারের প্রধান সমস্যা। ড্রেন পরিস্কার রাখার জন্য দোকানদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার জানান, তিনি বাজারের অবস্থা দেখেছেন। ড্রেন নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল জানান, লালপুর বাজারের জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের জন্য একাধিকবার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ আরো বাড়ানো হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top