logo
news image

লালপুরে দলীয় কোন্দলে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

প্রতিনিধি, নাটোর (লালপুর)
নাটোরের লালপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মো. নাজিম উদ্দিন (৪০) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মে ২০২১) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর পানির ট্যাংকের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বাসিন্দা। তিনি কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। নাজিম উদ্দিন উপজেলার পানঘাটা গ্রামের মৃত খোরশেদ সরদারের ছেলে।
লালপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজিম উদ্দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। ভবানীপুর পানির ট্যাংকের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা চাইনিজ কুড়াল ও হাতুড়ি নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। আশপাশের লোকজন তাঁকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম সমর্থিত আওয়ামী লীগের নেতারা হাসপাতালে যান।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, তাঁর মাথায়, পেটে, হাতে ও পায়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর চিহ্নিত পাওয়া যায়। বাম হাত ও ডান পায়ে বেশি আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রাতেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লালপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লালপুরে বর্তমান সাংসদ শহিদুল ইসলাম ও সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদের সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের তৃণমূলে আলাদা কমিটি গঠন করেছেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে নাজিম উদ্দিনের ওপর হামলা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঠিক কী কারণে এ হামলা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দলীয় কোন্দলের কারণেও হতে পারে।
এর আগে গত রোববার রাতেও একই উপজেলার কালুপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন মুসা সরকার নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top