logo
news image

শুভ জন্মদিন প্রতিমন্ত্রী পলক

ইমাম হাসান মুক্তি, প্রতিনিধি, নাটোর (লালপুর)
ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের শুভ জন্মদিন। দৈনিক প্রাপ্তি প্রসঙ্গ পবিবারের পক্ষ থেকে ৪১তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
১৯৮০ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়েজ উদ্দিন এবং মায় জামিলা আহমেদ। তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা। তাঁদের সন্তান অপূর্ণ জুনাইদ, অর্জুন জুনাইদ এবং অনির্বান জুনাইদ।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচিত সরকারের সংসদ সদস্য এবং ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত) থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।  জাতীয় ডিফেন্স কলেজ থেকে ক্যাপস্টোন কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দিনের পদানুসরণ করে জুনাইদ আহ্মেদ পলক বিশ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন। ২৮ বছর বয়সে ২০০৮ সালে সিংড়া নির্বাচনী এলাকা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান।
২০১৬ সালের মার্চে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহ্মেদ পলকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ হিসেবে মনোনীত করে। ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণদের নাম প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি ইয়ং বাংলা ও সিআরই-এর অন্যতম কান্ডারী। ২০১৮ সালে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারনী সংস্থা আ্যাপলিটাকল-এ প্রকাশিত ডিজিটাল গভর্নমেন্টে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
জানুয়ারী ২০১৪ সালে তিনি ৩৩ বছর বয়সে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রতিমন্ত্রী হন। তার আমলে সারাদেশে ১৮ হাজারের অধিক সরকারী অফিসকে একটি ডেডিকেটেড হাই স্পিড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হয়, ২৫ হাজার সরকারী ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল প্রতিষ্ঠিত হয়, আইটিইউ-এর টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার, ডব্লিউএসআইএস+ ১০ পুরস্কার এবং ডব্লিউআইটিএসএ-এর কাছ থেকে পাবলিক সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০১০ সালে বড় পরিসরে বৃক্ষরোপণ আন্দোলনে তার ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পরিবেশ পুরষ্কার ২০১০ প্রদান করেন।
তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে সংসদ সদস্য (জাতীয় সংসদ); আইসিটি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য; ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্যারাম ফেডারেশনের সভাপতি এবং ২০১১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারাম ফেডারেশনের সহ সভাপতি; ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সহ-সভাপতি।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top