logo
news image

সাবেক প্রতিমন্ত্রী পটলের ৭১তম জন্মদিন

ইমাম হাসান মুক্তি, প্রতিনিধি, নাটোর (লালপুর)
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য মরহুম ফজলুর রহমান পটলের ৭১তম জন্মদিন। তিনি নাটোর-১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নাটোর জেলার প্রথম মন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
ফজলুর রহমান পটল ১৯৪৯ সালে ২৪ এপ্রিল নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আরশাদ আলী এবং মাতার নাম ফজিলাতুন নেছা। পাঁচভাই ও একবোনের পরিবারে তিনিই ছিলেন সবার বড়। তিনি পাবন-৩ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিনের ভাতিজা।
ফজলুর রহমান পটল লালপুর উপজেলার গৌরিপুরে প্রাথমিক ও গৌরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে পাবনাতে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করেন এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যামিক পাস করেন। এর পর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
ফজলুর রহমান পটল ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এর পর তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা হিসাবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের শাসনামলে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। এরপর ১৯৯৩ সালে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকারের সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি লালপুরে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ করেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি ১৯৮৪ সালের ১৪ মে কামরুন্নাহার শিরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। বড় ছেলে ইয়াসির আরশাদ রাজন একজন চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন, ছোট ছেলে ইস্তেখার আরশাদ প্রতীক ব্যবসায়ী, বড় মেয়ে ফারহানা শারমিন কাকন গৃহীনি ও ছোট মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুল আইনজীবি।
ফজলুর রহমান পটল বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনির জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নেন। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য কলকাতা যান। সেখানে রবীন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top