logo
news image

ঈশ্বরদীর অর্থনীতির উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ‘স্বপ্নদ্বীপ’

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
চলমান ঈশ্বরদীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ‘স্বপ্নদ্বীপ’ রিসোর্ট। ‘স্বপ্নদ্বীপ’ রিসোর্ট দৃষ্টিনন্দনের সাথে সাথে অর্থনীতির অগ্রযাত্রার পাশাপশি ঈশ্বরদী এলাকাকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় নির্মাণ হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। এখানে রয়েছে ইপিজেড, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সদর দপ্তর, সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং আট শতাধিক আটো ও হাসকিং রাইস মিল। কৃষিতেও সমৃদ্ধ ঈশ্বরদীর অর্থনীতি। যেকারণে এখানকার ১৬ জন কৃষক জাতীয় পদক অর্জন করেছেন।
সবকিছু থাকলেও জেলার মর্যাদা পায়নি ঈশ্বরদী। আর ছিলো না বিনোদনের কোন কেন্দ্র। ছিলো না দেশী-বিদেশী সম্ভ্রান্তদের থাকার মতো আবাসিক হোটেল। এই অবস্থায় এগিয়ে আসেন ঈশ্বরদীর জয়নগর এলাকার দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠা আলহাজ¦ খায়রুল ইসলাম। রূপপুর গ্রিণসিটির সন্নিকটেই তিনি গড়ে তুলেছেন থ্রি-ষ্টার মানের আবাসিক হোটেল এবং দৃষ্টিনন্দন ‘স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট’। সাথেই নির্মাণ হচ্ছে ফাইভ ষ্টার হোটেল।
আধুনিক মানের স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্টে রয়েছে সুইমিং পুল, বেশ কিছু রাইডস। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে সাজানো হয়েছে রিসোর্টের পরিবেশ। যেখানেই দৃষ্টি যায়, সেখানেই চোখে পড়ে সুনিপুণ ও রুচিসম্মত শৈল্পিক কারুকাজ। রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থার পাশাপশি এখানে রয়েছে দেশী ও বিদেশীদের উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা। রূপপুর পারমাণবিকের এবং ইপিজেডের বিদেশীদের পদচারণায় মূখরিত থাকে রিসোর্ট। সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা থেকে অবসর সময় কাটানো এবং খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত থাকেন বিদেশীরা। বিদেশীরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সময় কাটিয়ে নতুন উদ্যম নিয়ে আবার কাজে চলে যাচ্ছেন। স্থানীয়রাও সময় পেলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভীড় জমাচ্ছেন স্বপ্নদ্বীপে। তাই স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট ঈশ্বরদীর অর্থনীতি গতিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
জয়নগর শিমুলতলা এলাকার মরহুম আতিয়ার রহমান সরদারের বড় ছেলে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে পড়া অবস্থায় পারিবারিক প্রয়োজনে এবং ছোট ভাইদের মানুষ করতে নেমে পড়েন ব্যবসায়। শিমুলতলায় চাউলের এজেন্সির কমিশনের ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু। নিষ্ঠা ও মাতৃভূমির প্রতি ভালবাসায় তাঁর ব্যবসা দ্রুত উন্নতি লাভ করে। একে একে গড়ে তোলেন, রাইস মিল, অটো ফাওযার মিল এবং খায়রুল এ্যাগ্রো ফুড। শিমুলতলায় অফিসের পাশেই স্থাপন করেছেন পেট্রোল পাম্প। সর্বশেষ তিনি গড়ে তোলেন থ্রি-ষ্টার মানের খায়রুল ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এবং স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট। নির্মাণাধীন রয়েছে ফাইভ ষ্টার হোটেল। তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখন তিন শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
আলহাজ¦ খায়রুল ইসলাম বলেন, সৎ পথে থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার কারণেই আমার আজকের এই সাফল্য। ঈশ্বরদী অর্থনীতি সমৃদ্ধ হলেও ছিলো না ভালো কোন থাকার ব্যবস্থা এবং অবসর সময় কাটানোর কোন মনোমুগ্ধকর পরিবশে। বিপুল সংখ্যক বিদেশীর কাজের পর সময় কাটানোর ব্যবস্থাও ছিলো না এখানে। বিদেশীরা আমার দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন। অথচ ইচ্ছে থাকলেও খরচ করার কোন পরিবেশ ছিলো না। তাই আমার লক্ষ্য বিদেশীরা উপার্জিত অর্থের কিছু আমার দেশে খরচ করলে আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। এই ধারণা থেকেই আমি হোটেল ও রিসোর্ট প্রতিষ্টার উদ্যোগ গ্রহন করি। রিসোর্টে এখন অনেক বিদেশী সুইমিং পুলে গোসল করা থেকে শুরু করে অবসর সময় কাটানোর জন্য সমাবেত হচ্ছে । দেশীয় সংস্কৃতির ভাবধারাকে সমুন্নত রাখার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সমাগম ঘটছে। বিদেশী ছাড়াও দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা সুন্দর পরিবেশে রিসোর্ট ও হোটেলে থাকছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top