কালাহারির বিস্ময়কর পাখীর কলোনি বাসা।
দক্ষিন আফ্রিকার কালাহারি মরুভুমি অঞ্চলে গেলে সেখানকার গাছের উপর কিম্বা বৈদ্যুতিক খাম্বার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ চমকে উঠবেন। আস্ত আস্ত সব খড়ের গাদা যেন ঝুলে ঝুলে রয়েছে সেই সব গাছ কিম্বা পোলের উপর।
আসলে এগুলি ছোট্ট ছোট্ট একরকমের পাখীর বাসা। নীলচে ঠোটের এই পাখীটির নাম সোশাল ওয়েভার। আমাদের চড়ুই পাখির সাইজই প্রায়। কিন্তু এদের এত বড় বাসা? হ্যাঁ একেকটি বাসা ১০ ফুট থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত বিশাল বড় সাইজের হয়ে থাকে। এর কারনও অবশ্য আছে।
এরা সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে খুব ভালবাসে। তাই অনেকগুলি পাখীর মিলিত প্রচেষ্টায় নির্মিত এই বাসাগুলিকে বাসা না বলে কলোনি বলাই বোধহয় বেশী ভাল । এদের এক একটি কলোনিতে ১০০ থেকে ৫০০ পাখী বসবাস করে। প্রতিটি কলোনিতে ৪ /৫ ইঞ্চি মাপের অনেকগুলি বাসা থাকে আর এদের প্রবেশ পথও থাকে আলাদা আলাদা। মৌচাকের মতই নিচের দিকে থাকে এই প্রবেশপথগুলি।
শেকর খড়কুটো এবং তুলো দিয়ে এমনভাবে এরা বাসা তৈরি করে যে মরুভূমির তীব্র তাপ কিম্বা রাতের অতিরিক্ত শীতল আবহাওয়াতেও এদের বাসা থাকে আরামদায়ক এবং সুরক্ষিত। সহজ কথায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যেন এদের বাসাগুলি।
১০ বছর বাঁচে এই পাখীগুলি,তবে বংশপরম্পরায় এই বাসাগুলিতে ১০০ বছর বসবাস করার নজীরও রয়েছে এই পাখিদের।
সাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য এমন সুন্দর কলোনী করলেও প্রায় ৭০ শতাংশ বাচ্চা পড়ে গিয়েই কিন্তু সাপের খাদ্যে পরিনত হয়।
দক্ষিন আফ্রিকা এবং নামিবিয়ায় এই পাখী বেশি দেখা যায়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য