logo
news image

লালপুরে অনিয়মের অভিযোগে সেকচিলান সপ্রাি বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করল এলাকাবাসি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিম্ন মানের কাজ ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে নাটোরের লালপুর উপজেলার সেকচিলান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ফাউন্ডেশনের একতলা নতুন ভবন নির্মান কাজ দ্বিতীয় বারের মত বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসি। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পত্র রোববার ১০ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাখিল করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানিন দ্যুতি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফাউন্ডেশন এর উপরে ড্রপ ঢালাইয়ে সিমেন্টের পরিমান এতই কম দেয়া হয়েছে যে বিভিন্ন যায়গায় রড বের হয়ে আছে, ঢালাই গুলো আপনা আপনি খসে পড়ছে এবং চর্তুদিকে অসমতল। শুধু তাইনয় কয়েকদিন পূর্বের গাথুনী সামান্য ধাক্কাতেই ধ্বসে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিডি)’র  তত্বাবধানে ৯২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যায়ে পাবনার বালিয়া হালোট এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রগতি এন্টারপ্রাইজ ভবনটির নির্মান কাজ করছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি গত ২৪/০৮/২০২০ তারিখে নির্মান কাজ শুরু করে। কিন্তু নির্মান কাজের শুরু থেকেই নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে এলাকাবাসী এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে ভালো কাজের প্রতি¯্রুতি দিয়ে পূনরায় কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের কথা রাখেনি। পুনরাই তারা কাজে নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য আলাল সহ একাধিক এলাকাবাসি জানায়, ‘নির্মান কাজের শুরু থেকেই নি¤œ মানের সমাগ্রী এবং অনিয়মের কারণে আমরা কাজ বন্ধ করে দিই। পরে ভালো কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুনরাই কাজ শুরু করে। কিন্তু এবারেও অনিয়ম করতে থাকে। ড্রপ ঢালাইয়ে খুবই খুব কম পরিমানে সিমেন্ট ব্যবহার করে দ্রুত তা মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সময় আমরা তাদের হাতেনাতে ধরে  ফেলি এবং কাজ বন্ধ করে দিয়েছি’।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা উম্মে আরা (রুমা) জানান, যেখানে শিক্ষার্থীদের রিাপত্তার ব্যাপার সেখানে কোন আপোষ নয়,আমি সিডিউল অনুযায়ী সঠিক কাজ চাই।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবর আলী মাষ্টার জানান,নি¤œমানের কাজ আমরা চাইনা, তাদের একবার সুযোগ দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা পূনরায় কাজে অনিয়ম করে যা আমরা হাতে নাতে ধরে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর গণ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করেছি।
এবিষয়ে প্রগতী এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমার পক্ষ থেকে এই কাজের বিষয়ে কোন পিছুটান নেই, আমি এলাকার প্রতিনিধিসহ বিদ্যালয় সভাপতিকে অবগত করেছি যে, আপনাদের প্রতিষ্ঠান, আপনারা কাজ বুঝে নিবেন, যদি মিস্ত্রীরা অনিয়ম করে তবে অবশ্যই ভেঙ্গে দিয়ে তা পূনরায় করা হবে। এবিষয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। আমি চাইনা নি¤œমানের কাজের জন্য আমার প্রতিষ্ঠান বা আমার মান ক্ষুন্ন হোক’।  
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, খারাপ কাজ ভেঙ্গে পুনরাই ভালো করে করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে মৌখিকভাবে দায়িত্ব দিয়েছি। যার গাফিলতিতে এমন অনিয়ম হয়েছে তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে কি সঠিক তদন্ত হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এমনটি হলে তদন্ত কমিটি করে দেয়া হবে যাতে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া যায়।

এম ইসলাম

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top