logo
news image

নলডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একসঙ্গে বসবাস করে সম্পর্ক অস্বীকার করায় সামাজিক স্বিকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা। তবে সাইফুল ইসলাম নামের ওই প্রেমিক পলাতক রয়েছে।
 ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের  নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ৪ নং পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষীকোল গ্রামের মদন হাট পাবনা পাড়ায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,সোনার মোড় গ্রামের মৃত সোবাহান মন্ডলের ছোট মেয়ে পপি খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক সাইফুলের। এলাকাতে তাদের সম্পর্কের কথা জানা জানি হলে গত বছরের আগষ্ট মাসে পপিকে নিয়ে গাজীপুর চলে যায় সাইফুল। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

এদিকে পপি সাইফুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে কিন্তু নানা অজুহাতে সাইফুল বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। প্রায় চার মাস এভাবে চলার পর সাইফুলের বড় ভাই ছাতনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকবর মাষ্টারের ভোটের জন্য কাজের কথা বলে নভেস্বর মাসে নাটোরে নিজ গ্রামে ফিরে আসে এবং পপিকে বলে বাড়ি যেয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে করবে। বাড়ি ফেরার পর সাইফুল জানায় পরিবারের কেউ রাজি না বিয়েতে এরপর থেকেই সাইফুল পলাতক।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পপি সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে উঠে সামাজিক স্বীকৃতির দাবিতে। সাইফুলের পিতা সিদ্দিক মোল্লা প্রথমে পপিকে বাড়িতে বাড়িতে রাখতে না চাইলেও পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পপিকে বাড়িতে রাখতে বাধ্য হয়েছেন। চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিনের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সাইফুলের হাজির হওয়ার কথা থাকলেও পরিবার জানায় সাইফুল কোথায় তারা জানেন না। বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় চারদিন ধরে মেয়েটি তার সাইফুলেরে রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পন্যন্ত জানা যায় নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

তবে পুরো সাইফুলের পিতা সিদ্দিক মোল্লা জানান, আমার ছেলে যদি বিয়ে করে তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই কিন্তু এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এলাকার লোকজন মিলে একটা চক্র যাদের কাজই এগুলো করা। প্রয়োজনে যত টাকা খরচ করতে হয় করব কিন্তু এই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে দিব না।

মেয়ে পপি খাতুন জানায়, আমার আর সাইফুলে সম্পর্কের কথা অনেকেই জানে। আমার কাছে প্রমাণও আছে। এখন যদি আমাকে সাইফুল বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করব তবুও এখান থেকে যাব না। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মৃধা জানান,পপি খাতুনের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য