লালপুরে কৃষক নির্যাতনকারী ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কৃষক নির্যাতনকারী নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল ২০২০) নাটোর জেলা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী থানা এলাকা থেকে পলাতক চেয়ারম্যানকে আটক করে।
সম্প্রতি নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের মৃত চয়েন উদ্দিনের ছেলে কৃষক শহিদুল ইসলাম (৫৫) ৩৩৩ সরকারী সেবা হট নম্বরে ফোন দিয়ে জানান, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এই গ্রামের অনেক কৃষক কর্মহীন হয়ে খাদ্য সংকটে রয়েছেন। জ্ঞাত হয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বাণীন দ্যুতি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সাত্তারকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার ছাড়াও ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রেজা ও জনৈক রুবেল গত রোববার কৃষক শহিদুলকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে মারপিট ও হুমকি প্রদান করেন। এ ব্যাপারে গত বুধবার লালপুর থানায় মামলা হলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার প্রচেষ্টা শুরু হয়।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বাণীন দ্যুতি জানান, ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে খোঁজ-খবর নিয়ে ত্রাণ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করি। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাকে জানান, ত্রাণ প্রদানের প্রয়োজন নেই। পরে রাতে স্থানীয় সূত্রে জানতে পারি, দুপুরে ত্রাণ প্রত্যাশী শহিদুলকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে শারিরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল সকালে আমি ঐ গ্রামে কৃষক শহিদুলের বাড়িতে যাই, ত্রাণ প্রদান করি এবং সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেই। ঐদিন চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ এর ৩৪ ধারায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনস্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কারন-দর্শাও নোটিশ প্রদান করি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম রাব্বি জানান, অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনস্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বরখাস্তের প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. রেজা এবং কৃষক নির্যাতনের সহযোগী মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য