বড়াইগ্রামে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুনীর অনশন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম নাটোর
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতির দাবীতে চারদিন ধরে প্রেমীকের বাড়িতে অনশনসহ বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে (২৩) ঘুরছেন এক তরুনী। গত রোববার সকাল থেকে উপজেলা গড়মাটি নওগ্রাম গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। প্রেমিক গড়মাটি নওগ্রাম গ্রামের তানু সরকারের ছেলে প্রতাপ সরকার। এ বিষয়ে ওই তরুনী প্রথমে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন এবং স্থানীয় গোপালপুর ইউপি কার্যালয়ে বিচার প্রার্থনা, পরে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত্র কেন্দ্রের আশ্রয় নিয়েছেন।
অনশনরত তরুণী জানান, প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রতাপ সরকারের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুত্রে চার মাস আগে নাটোর শহরের বঙ্গোজ্জ্বল মন্দিরে পাল পুরোহিতের মাধ্যমে ধর্মমতে তারা দুজনের বিয়ে হয়। এরপর প্রতাপ সরকার তরুনীর বাবার বাড়িতে যাতায়াত করাসহ ভরন পোষন দিয়ে আসছিল। কিন্তু গত এক মাস আগে থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতাপ। এতে বাধ্য হয়ে সে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রতাপের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়।
তরুনীর মামা জানান, তার ভাগ্নী আসার পর প্রতাপ সরকারের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । প্রতাপের বাবা তনু সরকার বলেন, তার ছেলে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাই তাকে (তরুনীকে) আমি পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা। পরে গ্রামের প্রধান চিত্তরঞ্জন সরকার ও আশু কুমার সরকারের নির্দেশে প্রতাপের মামা নিত্তানন্দ সরকার, বড় ভাই পরিতোস কুমার সরকার, ছোট ভাই কুষি কুমার সরকার মেয়েটিকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি নিয়ে সালিস বসে। সেখানে সমাধান না হওয়ায় বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মৌখিক জানালে ইনচার্জ তোহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে তরুনীকে নিয়ে আসেন। সেখানে দুই পক্ষ নিয়ে পুনরায় সালিস বসেন। একই সাথে বিষয়টির সুষ্ঠু শুরাহার জন্য ৫ সদসের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আগামী রোববারের মধ্যে এই কমিটি বিয়ে হয়েছে কিনা তার প্রতিবেদন দিবে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য