logo
news image

লালপুরে নেতাদের বসাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।  
নাটোরের লালপুরের নওপাড়া বাজারে নেতাদের নিজেদের অনুকুলে বসানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দু পক্ষের ধাক্কাধাক্কী, আওয়মী লীগ অফিস ও বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওপাড়া বাজার এলাকায় বুধবার (৩০ আক্টোবর) সন্ধ্যার পরে লালপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু, নাটোর জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাঘা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হাসান রিপনসহ নের্তৃবৃন্দ আসেন।
এ সময় দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নায়েব উদ্দিন মালিথার ছেলে ও লালপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পলাশ, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাহজাহান আলীসহ আওয়ামী লীগ নের্তৃবৃন্দ আগত নেতাদের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে বসার অনুরোধ জানান।
অপরদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা সাংসদ সমর্থক তোফা ও তার লোকজন আগত নেতাদের তাদের অফিসে বসার জন্য বলেন। আগত নেতাদের কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও জোরাজুরি শুরু হয়। এ সময় তোফা গ্রুফের নুসারুল সহ কয়েকজন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অফিসে ঢুকে চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ার সময় দু’পক্ষ ইট-পাটকেল ছুড়লে উপস্থিত নের্তৃবৃন্দ ও সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। রাত সোয়া আটটার দিকে পুনরায় দুপক্ষ সংগঠিত হয়ে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় আবু তালেব নামে আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দু পক্ষকই ইট ছুড়াছড়ি করতে মেতে উঠলে মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। এ সময় কার্তিক কুমারের ছেলে বিকাশ কুমারের বাড়ির বেড়া ভাংচুর ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে তোফাজ্জল হোসেন তোফার নেতৃত্বে মিছিল বের হয়ে মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও পানসিপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের স্ত্রী সাবরিনা খাতুনের বাড়ি, একই গ্রামের আমির আলীর ছেলে খোদাবক্স ও নওপাড়া গ্রামের মহাম্মদ আলীর ছেলে বাবুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের বেড়া ভাংচুর ও বাড়ির মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ব্যাপারে তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, কোন ঘটনা ঘটেনি। যুব লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান পলাশ বলেন, তোফার জামাত – বিএনপির লোকজন নিয়ে হামলা করেছে।
খবর পেয়ে লালপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top