নিউইয়র্কে অভিনেতা হাসান ইমামের সাথে
নাজমুন নাহার সোহাগী। ।
নিউইয়র্কে @TBN24 ইন্টারভিউ শেষে হঠাৎ করেই দেখা হল আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব অভিনেতা হাসান ইমামের সাথে। পিতৃতুল্য অসম্ভব ভালো একজন মানুষ। মুক্তিযুদ্ধে তাদের মত ব্যক্তিদের অবদানের জন্য আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের একটি পতাকা পেয়েছি।
১৯৭১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে হাসান ইমামকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় শিল্পীদের প্রতিবাদী সংগঠন বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ যারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পাকিস্তান বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বর্জন করেন।
গণআন্দোলনের চাপে পাকিস্তানী সরকার ৮ মার্চ থেকে বেতার টেলিভিশনের দায়িত্ব বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
২৫ মার্চের পর হাসান ইমাম মুজিব নগরের চলে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে ১৯৭১-এ স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের নাট্য বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। সৈয়দ হাসান ইমাম মুজিবনগর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সালেহ আহমেদ নামে বাংলা সংবাদ পাঠ করতেন।
হাসান ইমাম ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সংবাদ পাঠ এবং নাট্য বিভাগের দায়িত্বভার বহন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জহির রায়হানকে সভাপতি ও হাসান ইমামকে সাধারণ সম্পাদক করে মুজিব নগরে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী সমিতি গঠন করা হয় যাদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র দলিল 'লেট দেয়ার বি লাইট' নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠায় হাসান ইমাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এই মানুষগুলো যখন আমাকে উৎসাহিত করে, তাদেরকে যখন আমি ছুঁয়ে দেখি তখন আমার ভেতরে দ্বিগুণ শক্তি বেড়ে যায় বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা হাতে পৃথিবীর সব কঠিন দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে।
* ফেসবুক থেকে, নিউইয়র্ক, ২১ অক্টোবর ২০১৯
সাম্প্রতিক মন্তব্য