ঈশ্বরদীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ছাত্রীদের সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগে ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া আবু বকরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা (এবি মাদাসা) শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
সোমবার মাদ্রাসার সামনের সড়ক (পাকশী-পাবনা বগামিয়া সড়ক) অবরোধ এবং মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ করেছে শিার্থীরা। ঘটনার পরপরই শিক্ষক রবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মাদ্রাসা ছাত্রী আশা খাতুন বলেন, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম শ্রেণী কক্ষে এসে ছাত্রীদের শরীরে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে এবং অশ্লিল কথাবার্তা বলেন। এব্যাপারে একাধিকবার মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষের নিকট ছাত্রীরা অভিযোগ জানালেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর অশ্লিল আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার আমরা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। রিয়া খাতুন জানায়, ওই শিক্ষকের অন্যায় আচরণে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। স্যার শ্রেণী কক্ষে এসে চেয়ারে না বসে আমাদের বেঞ্চে বসেন। শরীরেও হাত দেয়। ছাত্রীদের বলেন তোমাকে বউ বানাবো।
অভিভাবক রতন ফকির বলেন, মাদ্রাসায় মেয়েকে দিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। শিক রবিউল ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এবিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিকট অভিযোগ দেয়া হলেও রবিউল প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, রবিউল ইসলামের চাচাতো ভাই ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ার কারণে তার অন্যায়ের কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রোকনুর ইসলাম জানান, আমি ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযুক্ত শিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন বিশ্বাস বলেন, ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিত তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষক রবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আজীবন দাতা সদস্য মতিয়ার রহমান সরদার শিকের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ওই শিকের সুষ্ঠু বিচার হতে হবে। এধরনের শিকের কারণে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য