টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেলেন মাদক কারবারি
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নাটোরের লালপুর উপজেলায় চার লাখ টাকার বিনিময়ে আটক এক মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও ২০০ ইয়াবা বড়িসহ এক মাদক কারবারি ও এক অটোরিকশাচালককে আটক করা হলেও থানায় নেওয়ার আগে ওই কারবারিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর ৪০০ বোতল ফেনসিডিলকে ১৬০ বোতল দেখিয়ে এবং ইয়াবা চালানের কথা গোপন রেখে শুধু চালককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা দেওয়া হয়।
গত ২৩ আগস্ট লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধরবিলা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া অটোরিকশাচালকের নাম নাজমুল হক। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। বর্তমানে তিনি নাটোর কারাগারে রয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ছেড়ে দেওয়া মাদক কারবারির নাম আব্দুল বারী। তিনি বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মোহসিন আলীর ছেলে এবং শীর্ষ মাদক কারবারি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২৩ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধরবিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে ছিলেন অধিদপ্তরের উপপরির্দশক লাল মাহমুদ তালুকদার, সহকারী উপপরিদর্শক জামালুর রহমান, সিপাহি আ ন ম হাসান, মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম ও সিপাহি নিজাম উদ্দিন। এ সময় উপজেলার দিঘা বাজারের খলিলের মোড়ে একটি অটোরিকশা থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়িটি বড়বাড়িয়া যাচ্ছিল। তল্লাশির সময় অটোরিকশাচালকের পাশে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৬০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার এবং এর চালক নাজমুল হককে আটক করা হয়। এর আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে দুই লাখ টাকা। পরে চালক নাজমুল হককে লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। মামলায় ধরবিলা পশ্চিমপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাকিল ইসলাম ও সামছুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলামকে সাক্ষী করা হয়েছে। পরে ওই দিনই উপপরির্দশক লাল মাহমুদ তালুকদার বাদী হয়ে লালপুর থানায় নাজমুল হকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৮। পরে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠান।
সাম্প্রতিক মন্তব্য