ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ -এস আই শাহীন ক্লোজ
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা ।।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রাক্কালে দৈনিক ভোরের পাতা ও অনলাইন বিটিসি নিউজের সাংবাদিক ময়নুল ইসলাম মিন্টু ওরফে লাহিড়ী মিন্টুকে ঈশ্বরদী থানায় শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদিকদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এঘটনায় শুক্রবার নির্যাতনকারী এস আই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলামকে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে পুলিশ সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ড’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্যাতনের শিকার লাহিড়ী মিন্টু জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকালে থানায় সংবাদ সংগ্রহকালে এসআই শাহীন মোঃ অনু ইসলামের বক্তব্য মোবাইলে রেকর্ড করার সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ৪ দফা বেদম প্রহার করে এবং মোবাইল ফরমেট করে সকল তথ্য মুছে দেয়। এসময় ডিজিটাল ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের হুমকী দেয়া হয়। এক পর্যায়ে থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট মিন্টুকে নেয়া হলে তিনি তাঁকে কান ধরে উঠবস করতে বাধ্য করেন। এসময় ওসি হুমকি দেন, যদি পুলিশের বিরুদ্ধে আর কোনদিন কোন নিউজ করলে তোর নামে ৪-৫ টি মামলা দিয়ে সারা জীবনের জন্য জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হবে।’
সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল বাতেনের সঞ্চালনায় এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, পত্রিকার সম্পাদক কে এম আবুল বাসার, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাংবাদিক শফিউল আলম বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, আবুল হাশেম, সম্পাদক এম এ কাদের, সম্পাদক আব্দুল মান্নান টিপু, সম্পাদক শেখ মহসীন, সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রিংকু, সম্পাদক মিশুক প্রধান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ওহিদুজ্জামান টিপু, সাংবাদিক আহসান হাবিব, আমিরুল ইসলাম, আতাউর রহমান বাবলু, মাহফুজুর রহমান শিফন, গোপাল অধিকারী, সহযোগী সদস্য মুরাদ মালিথা, আনোয়ার হোসেন, শিহাব উদ্দিন, ওহিদুল প্রমূখ।
এসময় প্রেসক্লাব নেতরা বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ডিআইজি (রাজশাহী), পাবনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়। পুলিশ সুপারের পরামর্শ মোতাবেক ২ মে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সভায় পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারের দাবী জানিয়ে আলটিমেটাম দেয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে ৪ঠা মে সকালে প্রেসকাবের সামনে মানববন্ধন ও পথ সভার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে মামলা দায়েরসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য