logo
news image

বড়াইগ্রামে বড়াল নদী পূনরুদ্ধারে সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম নাটোর
চলনবিলের জলাধর, পদ্ম-যমুনার সংযোগকারী বড়াল নদীর বুকে গড়া স্লুইস গেট, বাঁধ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের মাধ্যমে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ৪ মে পাবনার চাটমোহরে বড়াল কনভেনশ ডাকা হয়েছে। ওই কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য শনিবার নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা ভিত্তিক মতবিনিময় সভা করা হয়। বড়াইগ্রাম উন্নয়ন সোসাইটি নামে স্থাণীয় একটি বেসরকারী সংগঠন এর আয়োজন করে।
উপজেলার লক্ষীকোলে বড়াল স্কলারস একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রড়াল রক্ষা আন্দোলন বড়াইগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ডিএম আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন রুলফাও এর পরিচালক আফজাল হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাংবাদিক বেলাল হোসেন জুয়েল, আশরাফুল ইসলাম, সাইফুর রহমান, আব্দুল কাদের সজল, আতাহার আলী, অহিদুল হক, আলী আক্কাস, জেলা পরিষদ সদস্য মৌটুসি আক্তার মুক্তা প্রমূখ। সভায় বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর ও চাটমোহর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক এবং বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও সুধীজন অংশ গ্রহণ করেন।
নদী বিপর্যয়ের কারন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালে চারঘাটে ৬০০ ফিট নদীতে ৩০ ফিটের একটি  স্লুইচগেট নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৫ সালে আটঘরিয়াতে আরেকটি স্লুইসগেট নির্মান করা হয়। ফলে উজানের পানির প্রবাহ হ্রাস, পলি পতন, নদী ভাঙন, বেষ্টনী স্থাপনা, নদী দুষনের ফলে বড়াল নদীর বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নদীর তীরে রাষ্টীয় প্রাতীষ্ঠানিক ও ব্যাক্তিগত উদ্যেগে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে অবারিতভাবে।
বড়াল নদী রক্ষায় সরকারের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে বক্তরা বলেন, ১৯৯৭ সালে জাতীসংঘ কর্তৃক গৃহীত পানিপ্রবাহ আইনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতীক নদীসমুহহের সব ধরনের সংকট নিরসন করা সম্ভব। কিন্তু বড়ালনদী পুনরুদ্ধারে কোন ধরনের ভুমিকা লক্ষ করা যায়নি।
বক্তরা আরো বলেন, উজানের রাষ্টসমুহের সঙ্গে নদীর পানি ব্যাবহারের প্রশ্ন সংকট। দেশের অভান্তরে প্রকৌশল কার্যক্রমের বাংলাদেশের সব নদীই আজ ধংসের মুখে। ভুল বিদেশী পরামর্শে নদী গুলোর উপর অসংখ্য স্লুইসগেট, মাটির বাধ, খাটো দৈঘ্যর সেতু নির্মান করে নদী ধ্বংস করছে সরকারী প্রশাসন।
বক্তরা আরো বলেন, একই ভুল নীতির অক্ষুণœ রেখে ২১ সালের বদ্বীপ পরিকল্পনার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। নদীরস্বার্থবিরোধী পরিকল্পনা পরিবর্তন না করলে বদ্বীপ পরিকল্পনা সফল হবেনা। একদিন নদী হবে ধ্বংস, ধ্বংস হবে সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ। আসুন সবাই দেশ বাঁচাতে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসি।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top