logo
news image

বড়াইগ্রামে গৃহবধৃ ধর্ষণ ৫০ হাজার টাকায় সমঝতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম নাটোর
নাটোরের বড়াইগ্রামে গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ৫০ হাজার জরিমানা করে গ্রাম্য সালিশে চাচীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। গত শনিবার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে জরিমানার টাকা হাতে পাননি ঐ গৃহবধু বা তার স্বামী। 
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারী গোপালপুর ইউনিয়নের রাজাপুর পরাণপুর গ্রামের আজহার আলীর ছেলে সেলিম হোসেন তার চাচী (৩৫) কে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ঐ মহিলার ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে লম্পট সেলিম পালিয়ে যায়। পরদিন ঐ মহিলা ক্ষোভে-লজ্জায় কীটনাশক পানে আতœহত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্বজনেরা তাকে দ্রুত রাজাপুরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করলে কয়েকদিনের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। শনিবার এ ঘটনায় গোপালপুর ইউপি কার্যালয়ে সালিশ বসে। সেখানে চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ গ্রাম্য প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেলিমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে সালিশ শেষ করেন। সালিশে উপস্থিত একাধিক ব্যাক্তি জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এভাবে নামে মাত্র জরিমানা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 
এ ব্যাপারে রোববার ঐ মহিলার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ পর্যন্ত কোন টাকা হাতে পাননি বলে জানান। অভিযুক্ত সেলিম হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছোট ভাই বিপ্লব জানান, একটা ঘটনা ঘটেছিল, সেটা পরিষদে বসে মিটমাট করা হয়েছে।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান জানান, তারা পরস্পর আতœীয়। একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল, মিমাংসা করে দিয়েছি। আর মেয়েটির চিকিৎসা বাবদ কিছু খরচ হয়েছে, সেটা ছেলেপক্ষকে দিতে বলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top