logo
news image

নবেসুমিতে ৮ ভাগ কমিশনে নভেম্বরের বেতন

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর (নাটোর)।  ।  
নাটোরের লালপুর উপজেলার ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল অর্থ সংকটে থাকার কারনে গত নভেম্বর মাস থেকে কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন এবং দুই মাস ধরে কৃষকের পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি মিলের মুজুরী কমিশনের শ্রমিক-কর্মচারীদের ২০১৬ সালের ১ জুলাই খেকে বিভিন্ন খাতের অতিরিক্ত পাওনা বাবদ টাকার পরিবর্তে চিনি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। এবার শতকরা ৮ ভাগ কমিশনে মিলের কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়েছে। তাও আবার মাত্র এক মাসের (নভেম্বরের) বেতন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল ৮ ভাগ কমিশনে বেতন দেয়ার বিষয়টি অস্বিকার করে জানান, 'কমিশনে নয়, বেতনের বিপরীতে চিনি দেওয়া হচ্ছে। বাজরে চিনির দাম কম থাকায় যারা বেতনের বিপরীতে চিনি নিচ্ছে তাদের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে।'
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক, স্বপন পাল জানান, দীর্ঘ ৪ মাস বেতন না পেয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিক বিবেচনা করে প্রায় সাড়ে তিনশ টন চিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে ৮ ভাগ কমিশনে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু মিল কতৃৃপক্ষ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে বিক্রি করতে পারে না। তাই শ্রমিক-কর্মচারীদের দুর্দশার কথা ও মিলের সার্বিক অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে যারা বেতন নিতে ইচ্ছুক তারা ওই ৮ ভাগ কমিশনে বেতন নিতে পারবে। সেই হিসেবে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বেতন দেয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে ৮ ভাগ কমিশনে বেতন গ্রহনকে অমানবিক বলে জানিয়েছেন একাধিক শ্রমিক-কর্মচারীরা। তার অবিলম্বে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করে চিনি শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাতে এবং তাদের বেতনের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল জানান, মিলে চিনি মজুদ আছে, কিন্তু নগদ টাকা নেই। তাই বেতন এবং কৃষকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছিনা। টাকার ব্যবস্থা হলেই কৃষকের পাওনা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ পাওনা পরিশোধ করা হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top