logo
news image

স্ত্রীকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে পালালো স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা (রাজশাহী)।  ।  
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় শনিবার স্ত্রী শামীমা আকতার রেখাকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে পালিয়েছেন স্বামী জিল্লুর রহমান। স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বামীর গ্রামের বাড়ি জোতরাঘব নিয়ে যান। সেখানে স্বামীর পরিবারের লোকজন তাকে আবার মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্বামীর কর্মস্থল বাঘা উপজেলা সদরে অবস্থিত সেবা ক্লিনিকে নেয়া হয় রেখাকে। এরপর অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রেখাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ঘটনার পর থেকে রেখার স্বামী জিল্লুর রহমানকে পাওয়া যাচ্ছে না।
জিল্লুর রহমান বাঘা উপজেলার জোতরাঘব গ্রামের মছের আলীর ছেলে। তিনি বাঘা সেবা ক্লিনিকের পার্টনার। আর শামীমা আকতার রেখা নাটোরের লালপুর উপজেলার সালামপুর কেশববাড়িয়া গ্রামের মহর আলীর মেয়ে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী দিঘা গ্রামের আফতাব হোসেন জানান, শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমি দিঘা বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় দিঘা ধরলিয়া নামক স্থানে ওই নারী রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছিলেন। পরে রেজাউল করীম নামের এক ব্যক্তির ভ্যানে করে দিঘা বাজারে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার ইসরাফিল হোসেনের কাছে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাকে স্বামীর গ্রামের বাড়ি জোতরাঘব নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি জানান, এ অবস্থায় জিল্লুর রহমানের পরিবারের লোকজন আবার রেখাকে মারধর করেন। এতে তার অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। পরে তাকে রেখার স্বামীর সেবা ক্লিনিকে নেয়া হয়। এ সময় জিল্লুর রহমানের আরেক পার্টনার নাজমুল হোসেনের পরামর্শে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে রেখার স্বামীর লোকজন রেখাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি জানান, বছরখানেক আগে প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে জিল্লুর রহমান আমাকে বিয়ে করেন। এর মাঝে একবার আমাকে তালাক দিয়েছিলেন। পরে মামলা করার কারণে পুনরায় আমাকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন।
তবে এ ব্যাপারে জানতে মোবাইলে জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top