logo
news image

বোরো ধানের আবাদে কৃষকদের বিড়ম্বনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর।  ।  
উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীতে পানি না থাকায় এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নাটোরে বোরো ধানের আবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা। এখনও পড়ে আছে অনেক অনাবাদি জমি। ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও পানির উত্তোলন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধান চাষে অতিরিক্ত খরচের আশংকা করছে কৃষকরা।
উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত নাটোর। এই জেলার বিস্তীর্ন চলনবিল ও হালতি বিলে প্রচুর পরিমান ধান উৎপন্ন হয়। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিল অঞ্চলের কৃষকরা সহজেই বোরো ধান চাষ করলেও নাটোরের লালপুর, বাগাতিপাড়া ও সদর উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা। নদ-নদীতে পানি না থাকায় এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দিনের বেলায় সেচ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই কৃষকদের রাতে সেচ দিতে হচ্ছে জমিতে। পাম্পে পানি কম উঠায় সময়ও লাগছে বেশী। সব মিলে খরচ বেশী হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। সেচ কাজে পানির মূল্য কমিয়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
বৃষ্টি না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে যেসব এলাকায় সেচে সমস্যা হচ্ছে সেসব এলাকার কৃষকদের মাটিতে গর্ত করে শ্যালো মেশিন বসানের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। কৃষকদের তেমন অসুবিধা হবে না বলেই জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বোরো ধান চাষে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরীর দাবি কৃষকদের।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top