আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবদেক, বাঘা (রাজশাহী)। ।
কারো স্বপ্ন আশা ভেঙে অপমান সুচক কথা বলা, অথবা তাচ্ছিল্ল করে উত্তেজিত হয়ে কথা বলা, কিংবা নির্যাতন করা এগুলো সবই আত্মহত্যা প্ররোচনার মধ্যে পড়ে। ঠিক এমনই কিছু ঘটনার প্রেক্ষিত সম্প্রতি জেলার বাঘা উপজেলায় এক ইতালি প্রবাসীর সুন্দরি স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। আর এ ঘটনার পর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ করে হুমকির শিকার হচ্ছেন তার চাচা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামে শ্বশুর-শ্বাশড়ি ও দেবরের অত্যাচার সইতে না পেরে গত ৮ জানুয়ারি আত্মহত্যা করে জীবনের জ্বালা মেটায় ইসমত আরা নামে এক গৃহবধূ। এ ঘটনার পর তার চাচা আবদুল কুদ্দস বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের নামে বাঘা থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররচনা অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে বাদী আব্দুল কুদ্দুস-সহ ইসমত আরা’র মা ও তার একমাত্র ভাইকে নানানভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রবাসীর পরিবার। নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত ইসমত আরার মা’ সোহাগি বেওয়া বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ইসমত আরার মা সোহাগি বেওয়া জানান, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে কারণে-অকারণে শ্বশুর-শ্বাশড়ি দেবর অত্যাচার করতো। যখন অত্যাচর করতো, তখন আমার মেয়ে আমার বাড়ি চলে আসতো। কিন্তু ভবিষতের চিন্তা করে বুঝিয়ে মেয়েকে আবার শশুর বাড়ি পাঠাতাম। সর্বশেষ ঘটনারদিন দুপুরে শ্বশুর নামাজ পড়ে এসে আমার মেয়েকে বলে তোমার মুখ যেনো আমাকে আর না দেখতে হয়। এমতাবস্থায় আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর আমার দেবর আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে আত্মহত্যা প্ররোচণার অভিযোগ এনে জামাইয়ের বাবা আয়ুব আলী, মা বুলুজান বেগম ও ভাই আবদুল আওয়াল এর বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামের ইতালি প্রবাসী মিটুল হোসেনের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম (২৫) এর ৬ বছরের সন্তান মোনায়েম হোসেন ধূলাবালি নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় তার দাদা ছেলের বৌকে গালমন্দ করে ওই শিশুকে ধুলাবালি নিয়ে খেলতে নিষেধ করে। তখন মা ইসমাতারা তার ছেলেকে মারধর করে। এতে গৃহবধূর শ^শুর আয়ুব আলী বিষয়টি নিয়ে ফের গালমন্দ করে এবং তার পুত্রবধূর মুখ যেনো আর দেখতে না হয় এমনটি ঘোষনা দেন। ফলোশ্রুতিতে তার ছেলের বৌ আত্নহত্যা করে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, আসমত আরার আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। তিনি হুমকি দেয়ার বিষয়ে থানায় জিডি নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য