logo
news image

প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।  ।  
প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং এনএসআই কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) বিশেষ টিম।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে ফ্রান্সের এলসিএল ব্যাংক থেকে কথিত ফরিদুজ্জামান সেলিম নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ৫৪ হাজার কোটি টাকা আছে উল্লেখ করে কয়েকজন ভুক্তভোগীকে জানায়। প্রতারক এই চক্র প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক, এনবিআর এবং এনএসআইয়ের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে তাদের বিশ্বাস করায়। ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার স্বাক্ষর দেখে অকপটে বিশ্বাস করে প্রতারক চক্রকে এরইমধ্যে ৪২ লাখ টাকাও দিয়েছে। এ বিষয়টি সিআইডির নজরে এলে তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হয়। পরে এ ঘটনায় জড়িত চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।’
গ্রেফতারকৃতরা হলো- লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের হেলালউদ্দিন (৫৫), নাটোর জেলার লালপুর থানার কেশবপুর গ্রামের মো. এনামুল হক (৪৮) এবং টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার বেপারীপাড়া গ্রামের মৃত আবু তালেব মিয়া ছেলে নাজমুল হাবিব (৫৪)। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে বাকি তিন আসামির নাম-ঠিকানা জানায়নি সিআইডি।
তাদের গ্রেফতারের সময় প্রধানমন্ত্রীসহ সবার স্বাক্ষর জাল করা প্যাডের পাতা জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসব ফোনে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে আসামি হেলালের বিভিন্ন মানহানিকর ভিডিও রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসপি জান্নাত আরা।
তিনি আসামিদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘গত নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখে এসব প্রতারণার অভিযোগে ওই তিন আসামিকে গ্রেফতার করে মিরপুরের পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৫৪। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্তপূর্বক আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি। এ চক্রের আরও সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করছে সিআইডি।
জান্নাত আরা বলেন, ‘আসামি হেলাল শিকার করেছে যে, সে নিজেই প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করেছে। এ জাল স্বাক্ষর দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ফান্ড থেকে উন্নয়নের জন্য ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে প্রলোভন দেখায় এবং তাদেরকে বলা হয় এ টাকা উত্তোলন করতে হলে ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক, এনবিআর ও এনএসআই কর্মকর্তাদের ৪২ লাখ টাকা দিতে হবে। আর এ টাকা যদি তারা দেয় তাহলে তাদের ৫৪ হাজার কোটি টাকার ৫ শতাংশ কমিশন দেবে তারা। এটা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তারা ৪২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে আর তাদের কোনো খোঁজ মিলেনি।’
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো তথ্য নেই বলেও আশ্বস্ত করেছে বলে জানায় সিআইডির এই কর্মকর্তা।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top