logo
news image

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নতুন অতিথি বাঘিনী শাবক

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর।  ।  
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে আরো একটি বাঘিনী শাবক জন্ম দিয়েছে। শাবকটি গত দুইমাস আগে জন্ম নিলেও নিরাপত্তার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষ জন্মের খবরটি প্রকাশ করেননি। এর আগে এই পার্কে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বাঘের বাচ্চার জন্ম হয়।
পার্কের বণ্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, গত ১ নভেম্বর পার্কের অভ্যন্তরে উন্মুক্ত পরিবেশে বাঘিনীটি একটি মাদী শাবক জন্ম দেয়। শাবক ও তার মায়ের নিরাপত্তার কারণে এ খবর গোপন রাখা হয়েছিল। বর্তমানে উভয়েই সুস্থ রয়েছে। শাবক নিয়মিতভাবেই তার মায়ের দুধ পান করছে এবং হাঁটাহাঁটি করছে। মা-সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তার মাকে অতিরিক্ত খাবারও দেয়া হচ্ছে।
নতুন জন্ম নেয়া শাবকসহ পার্কে এখন বাঘের সংখ্যা ১৩টিতে পৌঁছেছে। গত ৮ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রাণী নামের একটি বাঘিনী তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। যার মধ্যে একটি ছিল সাদা বাঘ শাবক। এখানের পরিবেশ ও প্রাণীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় লালন-পালন করার কারণে প্রতিনিয়ত বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বাঘ ও সিংহের বেলায় আশার সঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন পার্ক ও দর্শনীয় স্থানে প্রাণি সরবরাহ করা যাবে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এই পার্কে তৃতীয় বারের মতো বাচ্চা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই বাঘিনী প্রথমবারের মতো শাবকের জন্ম দেয়। নিরাপত্তার জন্য মা ও শাবককে আলাদা করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এক বছর পর তাকে অন্যান্য বাঘের সাথে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। নতুন শাবকটি জন্মের পরই তার পেছনের পা দুইটি অনেকটা প্যারালাইজ ছিল। ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারত না। বাচ্চাটি অসুস্থ থাকায় গণমাধ্যমকে তার জন্মের খবরটি জানানো হয়নি। চিকিৎসা ও সেবার পর বাচ্চাটি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চারটি মাদি ও দুইটি পুরুষ বাঘ এ পার্কে আনা হয়। এর মধ্যে একটি বাঘিনী ২০১৭ সালে তিনটি এবং ২০১৮ সালের ৮ আগস্টে আরো তিনটি শাবক জন্ম দেয়।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top