সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২১
প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ডেস্ক। ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষে সারাদেশে ২১ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ জনগণও রয়েছেন।
নাটোরে নিহত ১
নাটোরে ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় ভাতিজার হাতে চাচা খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম হোসেন আলি (৫০) এবং তার ভাতিজার নাম রতন (৩০)। সকালে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সমসখলসী গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভাতিজা বউ ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় চাচা হোসেন আলি তাকে বকাঝকা করেন। এ নিয়ে তার ভাতিজার বউ প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এসময় রতন এসে স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে চাচার সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু করে। এর এক পর্যায়ে রতন ধারালো অস্ত্র দিয়ে চাচা রতনকে আঘাত করে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামে নিহত ৩
চট্টগ্রামের পটিয়া ও বাঁশখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় এক মাদরাসা ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। পটিয়ার জিরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আবু সাদেক (১৬) নামে ওই শিক্ষার্থী মারা যায়। বেলা ১১টায় জিরি ইউনিয়নের দক্ষিণ মালিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। নিহত আবু সাদেক দক্ষিণ মালিয়ারা এলাকার আবুল কাশেম মেম্বারের ছেলে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল বলেন, পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মাঝে পড়ে আবু সাদেক নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় পটিয়া থানা পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এর আগে শনিবার রাতে পটিয়ার কুসুমপুরা এলাকায় বিএনপি কর্মীদের ইটের আঘাতে দিল মোহাম্মদ নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়। নিহত দিল মোহাম্মদ বাছা (৩৫) কুসুমপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল।
ভোট শুরুর প্রাক্কালেই ভোরে বাঁশখালীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সদর পৌরসভার বড়ইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহমদ কবির (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি কাথারিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী আহমেদ কবিরকে তার দলের কর্মী দাবি করে বলেছেন, পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। নৌকার কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্সে সিল মারার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাজশাহীতে নিহত ২
রাজশাহী-১ আসন গোদাগাড়ী- তানোরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তানোরের পাচন্দর মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোকাচ্ছের (৪০) নামে ভোটের লাইনে থাকা একজনকে পিটিয়ে মারা হয়। গোদাগাড়ীর কুমোরপুর মাদ্রাসা ও রাজাবাড়িহাট ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। সকালে নওহাটার স্কুল মাঠে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ভোটারদের চত্বর থেকে বিতাড়িত করা হয়। মোহনপুরের পাকুরিয়া সরকারী বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেরাজুল নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বগুড়ায় নিহত ১
বগুড়ায় পৃথক পৃথক নির্বাচনী সংঘর্ষে ১ যুবলীগ নেতা নিহত ও ৯জন আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। রোববার বেলা ১২ টায় বগুড়া-৪ আসনের কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগাইল গ্রামে ধানের শীষের কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষকালে ৩ নং ওয়ার্ড যুব লীগের সহ সভাপতি আজিজুর রহমান (৩০) নিহত হয়। তার পিতা একই এলাকার হায়দার আলী।
লক্ষীপুরে নিহত ১
লক্ষীপুর-৩ আসনের বড়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পাশে দূর্বৃত্তত্তদের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। নিহত যুবকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
বেগমগঞ্জে আনসার সদস্য নিহত
দুপুর ১২-৪০ মিনিটের দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের তূলাছারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সন্ত্রাসীর গুলিতে কর্তব্যরত আনসার সদস্য নূর নবী (৪২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। বেগমগঞ্জ থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, দুপুরে ২৫/৩০ জনের একজন সন্ত্রাসী ভোট কেন্দ্র দখলের উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি গুলি ও বোমা ছুঁড়তে থাকে। এসময় উক্ত ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার সদস্য নূর নবী নিহত হয়। এদিকে, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোরশেদ আলমের গাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে গাড়ির জানালার কাঁচ ভাঙচুর হয়।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল সেক্রেটারী নিহত
সিলেটের বালাগঞ্জে পুলিশের গুলিতে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেল নিহত হয়েছেন। বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুহেল একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সায়েম আহমদ সুহেল আজিজপুর গ্রামের ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন সায়েম। তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
গাজীপুরে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুর মহানগরের কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থক উত্তেজিত যুবকরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং জেলা শহরের কয়েকটি স্থানে ভাঙচুর চালায়।
অভয়নগরে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট নিহত
নৌকার সমর্থকদের হামলায় যশোর-৪ আসনে অভয়নগর উপজেলার পাথালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট শামসুর রহমান মোল্যা (৭৫) নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ওই কেন্দ্রে যাওয়ার সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা তাকে আটকে মারপিট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি পৌঁছে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুপুর ১০ টার দিকে তিনি মারা যান। এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, হার্ট অ্যাটাকে তার মারা গেছেন।
নরসিংদীতে আ.লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংঘর্ষ : নিহত ১
নরসিংদী-৩ ( শিবপুর) আসনের কুন্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট মিলন মিয়া (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুন্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ব্যালট নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে থাকেন। এনিয়ে নৌকার কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। দুই পক্ষ চলে যাওয়ার পরপরই এজেন্ট নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
রাঙ্গামাটিতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, যুবলীগ নেতা নিহত
রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দীন (৩৫) নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ইউনিয়নের রাঙ্গিপাড়া এলাকায় নৌকা ও ধানের শীষের সমর্থকের মধ্যে হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বাছির উদ্দীনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর বাছির উদ্দীনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোপালপুরে বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল আজিজের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভোরে ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিএনপির নেতারা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের লোকেরা আজিজকে মেরে ধানক্ষেতে ফেলে দিয়েছে।
কুমিল্লায় ভোটারসহ নিহত ২
কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট) আসনের এক ভোটারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সকালে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের মুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাচ্চু মিয়া (৫০) নামে এক ভোটার ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতারা বাধা দিলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এতে ছাত্রলীগ নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুকে হকিস্টিক দিয়ে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে জেলার চান্দিনায় বেলাশ্বর সরকারি বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে বিএনপি কর্মী মুজিবুর রহমান নিহত হন। সকাল সাড়ে ১০টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা আরও দুই বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
কক্সবাজার-১ আসনে রাজাখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। জানা যায়, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মাতব্বর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ২০০ গজ দূরে ভোট নিয়ে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া বেধে যায়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল ফারুক নিহত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসরাইল মিয়া (২০) নামে যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরপর এ আসনে বিএনপির প্রার্থীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩আসনের বর্তমান এমপি মহাজোট প্রার্থী আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। এসময় কেন্দ্রে উপস্থিত বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাটিপেটা ও গুলি করে। এসময় ওই যুবক নিহত হন।
লালমনিরহাটে নিহত ১
লালমনিরহাট-৩ আসনের (সদর) রাজপুর ইউনিয়নের পাগলারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার পথে তোজাম্মেল হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তি দুবৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। ২ নং ইউনিয়নের সদস্য শাহজাহান আলী জানান, দুপুর ১টার দিকে তোজামম্মেল হোসেনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর মারা যান তিনি।
দিনাজপুরের বিরলে বৃদ্ধ নিহত
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ভোট দিয়ে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে কিনা মোহাম্মদ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। উপজেলার শহরগ্রাম মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এই ঘটনা ঘটে। বিরল থানা পুলিশের ওসি এটিএম গোলাম রসুল বলেন, কিনা মোহাম্মদ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। কোনো অভিযোগ না থাকায় তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য