logo
news image

নাটোর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর।  ।  
উৎসবমুখর পরিবেশে নাটোর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা ইউনিট ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যৌথ উদ্যোগে শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মাদ্রাসা মোড় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, শেখ আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা ইউনিটের সদস্য সচিব সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম নান্টুসহ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যরা। অপরদিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যরা পিকআপ ভ্যানের বহর নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সনের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা সহ সারাদেশের বেশির ভাগ এলাকা হানাদার মুক্ত হয়ে বিজয় উল্লাস করলেও নাটোর মুক্ত হয় ২১ ডিসেম্বর। উত্তরাঞ্চলের হেড কোয়ার্টার হওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজশাহী,পাবনা,চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ,বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও রংপরে আত্মসমর্পণকারী সকল পাক সেনা তাদের অবশিষ্ট গোলা-বারুদ ও যানবাহন নাটোরে নিয়ে এসে দিঘাপতিয়া গভর্ণর হাউস, নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা কলেজ, রাণী ভবাণী রাজবাড়ী, পিটিআই, ভিটিআই ও ফুলবাগান চত্বরে এসে জড়ো হয়। ১৯৭১ সলের ২১ ডিসেম্বর দিঘাপতিয়া গভর্ণর হাউসে নাটোর গ্যারিসনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নওয়াব আহমেদ আশরাফ পাক বাহিনীর অফিসার ও জওয়ান মিলিয়ে মোট সাত হাজার ৬শ’ ৯৫ জন সেনা সদস্য সহ তাদের হেফাজতে থাকা রসদ ও যানবাহন নিয়ে মিত্রবাহিনীর পক্ষে ভারতের ১৬৫ মাউন্টেন ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার রঘুবীর সিং পান্নুর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সেই থেকে ঐ দিনটিকেই নাটোর মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top