logo
news image

স্বাধীনতার ৪৭ বছরে প্রথম নারী প্রার্থী কামরুন্নাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।  
স্বাধীনতা অর্জনের ৪৭ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী পত্নী অধ্যক্ষ কামরুন নাহার শিরিন। এর আগে এ আসন থেকে কোন নারী প্রার্থী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহন করেন নি। যদিও নবম সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মমতাজ উদ্দিনের সহধর্মিনী শেফালী মমতাজ। কিন্তু সরাসরি নির্বাচনে এই প্রথম বারের মতো বিএনপি কামরুন্নাহার শিরিনকে চুড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়ায় এই আসনে দলটিরও প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নিচ্ছেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসোন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিনী।
জানা গেছে, শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপির গুলশান কার্যালয় থেকে কামরুন্নাহার শিরিন দলের চুড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি হাতে পেয়েছেন। এর ফলে তিনিই এখন এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী। যদিও এ আসনে প্রথম পর্যায়ে বিএনপি থেকে দু’জন প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কামরুন্নাহার শিরিনের সাথে বিএনপি’র অন্য প্রার্থী ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। চুড়ান্ত মনোনয়ন দৌড়ে তিনি পিছিয়ে পড়েন। এছাড়াও এ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য চার জন নারী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুই জন বিএনপি ও দুই জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ওই চার মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে শুধুমাত্র কামরুন্নাহার শিরিন দলীয় চুড়ান্ত মনোনয়ন পান।
অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিন পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী এলাকায় ১৯৫০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।  ১৯৭৩ সালে লালপুরের গৌরিপুর গ্রামে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান পটলের সাথে বিয়ে হয়। শিক্ষা জীবনে কামরুন্নাহার শিরিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালের ব্যাচে (পরীক্ষা ১৯৭৪ সালে) রসায়ন বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি পাবনার শহীদ বুলবুল কলেজে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। এরপর ১৯৭৯ সালে ঢাকার মীরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইন্সটিটিউটে একই পদে যোগদান করে ২০০৩ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি পান। চাকুরী শেষে ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। ব্যক্তিগত জীবনে কামরুন্নাহার শিরিন দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জননী। প্রতিমন্ত্রী পত্নী কামরুন্নাহার শিরিন স্বামীর মৃত্যুর পর ২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর এ আসনে বিএনপি’র কান্ডারী হওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন।
কামরুন্নাহার শিরিন বলেন, স্বামী ফজলুর রহমান পটলের ৪৩বছর রাজনৈতিক জীবন শেষে মৃত্যুর পর শুণ্যস্থান পুরন করতে চান তিনি। মানুষের ভালবাসা নিয়ে ভোট যুদ্ধে তিনি শতভাগ বিজয়ের আশা করেন এবং জয় লাভ করে স্বামীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার রেখে যাওয়া কাজ সমাপ্ত করতে চান।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top