logo
news image

চলে গেলেন বৃটিশ উপনিবেশিক শাসন ইতিহাসের শেষ স্বাক্ষী ফাতেমা খাতুন

নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।  
নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলশলিয়া গ্রামের মরহুম জাফর উদ্দিন মোল্লার (মৃত্যু-১৯৮৬) সহধর্মিনী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এনামুল হকের মাতা, ১৯২১ সালের নীলকর বিরোধী আন্দোলনের সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬:৫০ মিনিটে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তাঁর মৃত্যুতে এলাকা ব্যাপী শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ১০০ বছর।   তিনি ৫ পুত্র ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তাঁর পারিবারিক ও সামাজিক পরিচিতি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাঁর পিতা লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের অধিবাসী মরহুম মহশিন সরকার ছিলেন বিলমাড়ীয়া কাচারীর নায়েব। এ ছাড়া ১৯২১ সালের বৃটিশের নীলকর ও চাষ এবং শোষন বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পূরোধা প্রখ্যাত জোদ্দার মৃত ফয়েজ উদ্দিন মোল্লা'র (১৮৬১-১৯৬৬) পুত্রবধু ছিলেন তিনি। পিতার সান্নিধ্যে থেকে ১৯২১ সালে নীলকর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মৃত  আব্দুল জলিল মোল্লার ভাবী, লালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পান্নার বোন।  সাপ্তাহিক শহীদ সাগর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক বিশিষ্ট কলাম লেখক ও গবেষক সাদ আহমেদের চাচী (বড় মা) ফাতেমা খাতুন ছিলেন বৃটিশ উপনিবেশিক শাসন ইতিহাসের শেষ স্বাক্ষী। তাঁর মহাপ্রয়াণে ইতিহাসের একটি অপ্রকাশিত অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি প্রখর স্মৃতি ও ধীশক্তির অধিকারিনী ছিলেন। অর্জুনপাড়ার রাজবাড়ী ও তাদের তৈরিকৃত দালান-কোঠার ধংশাবশেষ এবং তাদের খননকৃত বিভিন্ন পুকুরের প্রচলিত গল্প, ১৯২১ সালের নীলকর আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনা, ১৯৪৩ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া কলেরার ভয়াবহতা সম্পর্কে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে যে সাক্ষ্য দিয়ে যান যা আগামীতে ইতিহাস গবেষকদের অমুল্য উপাদান হতে পারে। তাঁর এ মহাপ্রয়ানে দৈনিক প্রাপ্তি প্রসঙ্গ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ ইমাম হাসান মুক্তি, সাপ্তাহিক শহীদ সাগরের সম্পাদক ও প্রকাশক সাদ আহমেদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top