শিশু চিত্র প্রদর্শনী-আমিই বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, যুক্তরাষ্ট্র। ।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের ও উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা শিশুদের আঁকা এই চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো নিউইয়র্কের চিত্রপাড়া চেলসিতে। ৮ থেকে ১২ বছরের শিশুদের আঁকা ছবির এই প্রদর্শনীর নাম ‘আমিই বাংলাদেশ’। ছবি: সংগৃহীত
শিশুদের অনভ্যস্ত হাতে আঁকা ছবি। কোনোটি কারও মুখ, কোনোটি পরিচিত প্রকৃতির দৃশ্য। কোনোটি আবার শিশু হাতের আঁকিবুঁকি। সব মিলিয়ে রং ও রেখার এক উৎসব। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের ও উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা শিশুদের আঁকা এই চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো নিউইয়র্কের চিত্রপাড়া চেলসিতে। ৮ থেকে ১২ বছরের শিশুদের আঁকা ছবির এই প্রদর্শনীর নাম ‘আমিই বাংলাদেশ’।
বাংলাদেশের শাবাদ মুর্শিদ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এ প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের রোগ ফাউন্ডেশন। উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের অবহেলিত ও বঞ্চিত শিশুদের ছবি আঁকার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকায় ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে আয়োজিত দুটি ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্কশপে কয়েক শ শিশু অংশ নেয়। প্রায় দেড় শ ছবির মধ্য থেকে ব্যতিক্রমী বিবেচিত মোট ২২টি চিত্রকর্ম নিউইয়র্কের এই প্রদর্শনীতে স্থান পায়। প্রদর্শিত চিত্রসমূহের বিক্রয়লব্ধ অর্থ রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশের শিশুদের সাহায্যার্থে প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন রোগ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কেভিন ও–হ্যানলন।
ও-হ্যানলন জানান, এটি ছিল রোগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত শিশুদের দশম চিত্র প্রদর্শনী। এর আগে তারা ফিলিস্তিন, সিরিয়া, কঙ্গো ও হাইতিসহ বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শিশুদের মধ্যে ছবি আঁকার ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে। সর্বত্রই সবচেয়ে অধিকারবঞ্চিত শিশুদের এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। ঢাকায় ও কক্সবাজারে আয়োজিত দুটি ওয়ার্কশপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাগজ, কালি ও ছবি আঁকার অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়।
ও–হ্যানলন জানান, তাঁর ইচ্ছা বাংলাদেশের শিশুদের জন্য একটি স্থায়ী ছবি আঁকার স্কুল ও চিত্র প্রদর্শনীর স্থান নির্মাণ করা। তিনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছা জাহাজে বাক্স ভর্তি করে আমি ছবি আঁকার সরঞ্জাম নিয়ে যাব। আর শিশুদের মধ্যে তা বিতরণ করব।’ কাজেই বাংলাদেশ থেকে ভালো উৎসাহ পাচ্ছেন বলেও জানান ও–হ্যানলন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য