logo
news image

কামাল নাকি জোবায়দা কে হচ্ছেন বিএনপি’র নতুন চেয়ারপারসন

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে শুরু করে বিএনপির সকল দায়িত্ব নিজ হাতে পালন করছেন ড. কামাল। এদিকে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে দলের নতুন চেয়ারপারসন কে হবেন এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক নেতৃত্বে কে দেবেন- তা নিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরে চলছে আলোচনা। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের কৌতুহল শেষ নেই, দলে পরবর্তী চেয়ারপারসন হিসেবে কাকে দেখা যাবে- ড. কামাল নাকি তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দাকে?

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির একটি পক্ষ ড. কামালকে দলের চেয়ারপারসন হিসেবে উপযুক্ত মনে করলেও তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দাকেও দেখতে চায় দলের অধিকাংশ নেতা। ড. কামালের বয়স ও শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই ডা. জোবায়দাকে দলের চেয়ারপারসন হিসেবে গ্রহণ করার পক্ষে মত দিচ্ছেন দলের নীতি-নির্ধারকরা।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা হিসেবে ড. কামাল থাকলেও জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন হিসেবে তাকে মানতে স্থায়ী কমিটির অনেক সদস্যই নারাজ। সেক্ষেত্রে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দাকে দলের চেয়ারপারসন হিসেবে তাদের প্রথম পছন্দ।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন অথবা তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানো হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধরেই নিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারবেন না। এমন ধারণা নিয়েই তারা ড. কামাল হোসেনকে জোটের আহ্বায়ক করেছে। এখন একটি পক্ষ ড. কামালকে বিএনপি’র নতুন চেয়ারপারসন হিসেবেও দেখতে চায়। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অভিন্ন প্রতীকে অংশ নেওয়া এই নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু ড. কামালকে এ প্রস্তাবে এখনো রাজি করাতে পারেনি বিএনপি। সেক্ষেত্রে দলটির স্থায়ী কমিটির অপরপক্ষের দাবি, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দাকে দলের চেয়ারপারসন করে খালেদা জিয়ার আসন থেকে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানো হোক।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করছেন, দেশ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আত্মত্যাগের মাধ্যমে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে আসতে হবে। অন্যথায় দলটি সংকট থেকে মুক্তি পাবে না।

অপরদিকে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে মির্জা ফখরুল ও মওদুদ আহমদসহ দলের অনেক নেতাই সকল ধরনের ছাড় দিতে প্রস্তুত বলেও গণমাধ্যমে বৃবিতিও দিয়েছেন তারা। সে হিসেবে ক্ষমতায় আসার জন্য দলের চেয়ারপারসন পরিবর্তন করতে প্রস্তুত বিএনপি’র নীতি-নির্ধারকরা। তবে যোগ্যতা ও নেতৃত্বের প্রশ্নে নতুন চেয়ারপারসন হিসেবে কে দায়িত্বে আসছেন- তা সংশয়ের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top