logo
news image

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কোনো কাজ হয়নি

অগ্রগতি রিপোর্টঃ  জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে এক আসামির আইনজীবী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে টেনে আনায় এজলাসকক্ষে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। ওই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন একদল জুনিয়র আইনজীবীও। এ সময় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপরেও বাকবিতন্ডা চলতে থাকলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন। এজলাস ত্যাগের প্রায় ১০/১২ মিনিট বিচারক পুনরায় আদালতে এসে বিচারকাজ পরিচালনা শুরু করেন। এ সময় আদালত কক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন।গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

 

আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আইনজীবী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদক বলছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কোনো কাজ হয়নি। অথচ কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি ট্রাস্টের নামে ক্রয় করা হয়েছে। এটা কি খালেদা জিয়ার নামে করা হয়েছে? না, এটা ট্রাস্টের সম্পত্তি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ট্রাস্টের হিসাবে কেন প্রধানমন্ত্রীর পদ লিখবেন? প্রত্যেক মানুষের দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত কাজ আছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিলেটে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। আর একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দুদকের পিপি বলছেন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে পারেন না। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে গিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে করছেন, নাকি ব্যক্তিগত কাজ?

 

এ পর্যায়ে দুদকের পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে এই মামলায় টেনে আনবেন না। উনি (আমিনুল ইসলাম) তো সক্রেটিসের মতো কথা বলছেন। এর নাম কি যুক্তিতর্ক? কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ আদালতে টেনে আনছেন? আমিনুল ইসলাম বলেন, আপনি আমার যুক্তি উপস্থাপনে বাধা দিতে পারেন না। এসময় আদালত আসামিপক্ষের আইনজীবীকে রেকর্ড দেখে যুক্তি উপস্থাপন করতে বলেন। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীরা তমুল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন। পরে এজলাসে ফিরে এসে বিচারক বলেন, আইনজীবীদের মধ্যে তর্ক হতেই পারে। কিন্তু পাশ থেকে জুনিয়ররা হট্টগোল করবেন কেন? একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামনে এভাবে হট্টগোল করা কি ঠিক? এটা তার জন্য মানসম্মানের ব্যাপার। এসময় আমিনুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া অনেক অনুষ্ঠান করেছেন। এখানে প্রতিক্রিয়া দেখানোর কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীর অর্গানোগ্রামে সবকিছু আছে। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। সভা সমাবেশ করার অধিকার আছে।

ইত্তেফাক/আনিসুর

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top