গণহত্যা ও বিলশলিয়া গ্রামে আশ্রয়ের গল্প
সাদ আহমেদ। ।
বাংলায় বৃটিশ শাসন ও নীল চাষ বিরোধী আন্দোলনের অত্র এলাকার পুরোধা ব্যক্তিত্ব ফয়েজ উদ্দিন মোল্লা (১৮৬১-১৯৬৬)’র দুই পুত্র বিলশলিয়া গ্রামের মরহুম জাফর উদ্দিন মোল্লা ও তদীয় ভ্রাতা মরহুম আব্দুল জলিল মোল্লা ভুমিকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পাওয়ার দাবী রাখে। কারণ তারা নিজেরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিলেও মুক্তিযুদ্ধের নানা ইতিহাসের সংগে তাদের যোগ রয়েছে। যুদ্ধের সময় কাঁচা ও টিনের বাড়ি হলেও তারা ছিল সম্ভ্রান্ত। গোঁড়া ধর্মীয় সংস্কৃতির কারণে তারা ছিল প্রচার বিমুখ। সেই সাথে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শহীদ সাগরে গণহত্যা শুরু হলে বিলশলিয়া গ্রামে যে সকল শত শত পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন, তাদের প্রত্যক্ষভাবে যত্ন নিয়ে মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন মরহুম জাফর উদ্দিন মোল্লার সহধর্মিনী ফাতেমা খাতুন এবং মরহুম আব্দুল জলিল মোল্লার সহধর্মিনী সামসুন্নাহার মীরাসহ গ্রামের নারীই। এই দুই মহিয়ষী নারীর মধ্যে কনিষ্ঠ শামসুন্নাহার মিরা মারা গেছেন ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে। জ্যেষ্ঠ ফাতেমা খাতুন (জন্ম ১৯২২) এখনও জীবিত আছেন। তাঁর জন্ম লালপুর উপজেলার রামকৃষ্টপুর গ্রামে। তিনি শিশু বয়সে বিলমারীয়া নীল বিদ্রোহ ও আন্দোলনের নেতা ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র ডাঃ সমেশ্বর চৌধুরীকে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে দেখেছেন। নীলকুঠির নীলকর সাহেব ও তার মেমকেও দেখেছেন। আর অতি দুই সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধকে দেখেছেন অতি নিকট থেকে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও তার স্মৃতি শক্তি এখনও প্রখর। সেদিনের ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনায় অবলীলায় বলতে পারেন সন তারিখসহ। এ বিষয়ে তার সাথেও বিস্তারিত কথা হয় লেখকের। বর্তমানে তিনিই এ গ্রামের সব চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ।
বড় কর্তা জাফর উদ্দিন মোল্লার নির্দেশে তার দুই সন্তান শহিদুল ইসলাম শহীদ ও এনামুল হক মুক্তিযুদ্ধে স্বক্রীয় অংশ নেন। একই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার পরিবারে মুক্তিযুদ্ধে যান ফরজ উদ্দিন সরকারের ছেলে শাহাদত হোসেন সরকার এবং তার কনিষ্ঠতম নইম উদ্দিন সরকার। সারাদিন কাজের ফাঁকে মুক্তিযুদ্ধাদের খবর রাখতেন এবং রাতে দুই ভাই নানা শলা পরামর্শ করতেন। কখনও কখনও রাতে বিভিন্ন জায়গায় খাবার পাঠাতেন আবার কখনও পালিয়েও থাকতেন। দেশের খবর নিতেন বেতারে বি বি সি’র খবর শুনে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা, প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা স্মরনার্থীদের সাহায্যার্থে বাড়িতে আশ্রয় দান, তত্ত্বাবধান ও তদারকিসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আশ্রিতদের যাতে কোন সমস্যা না থাকে তার খোঁজ খবর নিতেন। বহু জায়গা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা খাবারের জন্য লোক পাঠাতেন। এমনকি সে সময় অভাবী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব তারা নিয়েছিলেন। সারা বাড়িতে এমনকি সারা গ্রাম জুড়ে শুধু মানুষ আর মানুষ।এই বাড়ি ছাড়াও পাড়ার অনেক বাড়িতেই পালিয়ে আসা পরিবার আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরই মধ্যে থানার শান্তি কমিটির একজন বড় নেতা মৌলভী জামাল উদ্দিন পাক হানাদার বাহিনীর সেবা শশ্রুসার জন্য এবং রাজাকারদের খাবারের জন্য গরুর গাড়ি পাঠিয়ে জোর করে গাড়ি ভরে ধান ও চাল নিয়ে যেতেন। তার দাবী পূরণে অপারগতা জানালে বাড়ি লুটপাট ও পাক বাহিনী পাঠিয়ে হত্যার হুমকী দিতেন। বাধ্য হয়ে তাকে ধান চাল বাধ্য হতাম।
সুগার মিলে গণহত্যা শুরু হওয়ার পূর্বেই লেঃ আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী সামছুন্নাহার আজিম নিরাপত্তার আশায় মিল ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যায়। ‘একাত্তরের দিনগুলি’র লেখক জাহানারা ইমাম সুগার মিলে সংগঠিত গণহত্যার বিষয়টিকে এভাবে প্রশ্ন করেন- ‘কারবালার ঘটনা কি এর চেয়েও হৃদয়বিদারক ছিল? তিনি লেঃ আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী সামছুন্নাহার আজিমের সুত্র ধরে লিখেছেন, ঘন্টা দেড়েক পরে ওরা সবাই ঐ কোয়ার্টারের পেছনের ভাঙ্গা (আগে থেকে ভাঙ্গা রাখা হয়েছিল) বাউণ্ডারি দিয়ে বেরিয়ে মাঠের মধ্যে ছুটে আধ মাইল দূরে এক গ্রামে যায়। দেখে চারপাশ দিয়ে লোকজন ছুটে পালাচ্ছে। মিলের ভেতরে গুলি বিদ্ধ এক লোককে তার আত্মীয়-স্বজন বাঁশের ভারে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঐ গ্রামের লোকজনও ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। আরও মাইল খানেক হেঁটে বিলসরিয়া (বিলশলিয়া) বলে এক গ্রামে আশ্রয় নেয় শামসুন্নাহাররা সবাই। এখানে দেখে মিলের এক অফিসার শওকত তার আসন্ন প্রসবা স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে এসেছে। এখানে এক গরিব গৃহস্থের বাড়িতে কোন মতে রাতটা কাটিয়ে পরদিন গরুর গাড়ি করে পাঁচ মাইল দূরে বিলমারিয়া নামে আরেকটা গ্রামে গিয়ে এক গৃহস্থের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এই বাড়িতে ওরা সবাই বারো দিন ছিল। (১ জুলাই, বৃহস্পতিবার-১৯৭১ অধ্যায়ে, পাতা- ১৩৮-১৩৯) মিসেস সামছুন্নাহার আজিম জলিল মোল্লার চারচালা খড়ের ঘরে একদিন রাত্রী যাপন করেছিলেন। এ ব্যাপারে জলিল মোল্লার স্ত্রী সামছুন্নাহার জীবিত কালে সাক্ষ্য দেন যে, ভদ্র মহিলা প্রথম জানতেন না যে তার স্বামী আজিম পাক বাহিনীর হত্যার স্বীকার হয়েছেন। তিনি শুধু আজিমের বিষয়ে চিন্তা করছিলেন। সন্ধ্যার পর তিনি খেতে বসেও খাচ্ছিলেন না। আমি নাম জিজ্ঞাসা করতেই তিনি তার নাম ‘রানী’বলে আবার কাঁদতে লাগলেন। তখন তার ছেলেরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরদিন আমি এবং আমার বড় জা ফাতেমা খাতুন তাকে শান্তনা দিয়ে থাকার জন্য খুব অনুরোধ করি কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার জন্য খুব পিড়াপিড়ি করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আমার ভাসুর মরহুম জাফর উদ্দিন মোল্লা ও আমার স্বামী উভয়ে মিলে একটি গরুর গাড়িতে করে বিলমাড়িয়া গ্রামের উদ্দ্যেশে পাঠিয়ে দেন।
জাফর উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন আরেকটি স্মৃতি চারণ করে বলেন, সে দিন মিল থেকে আসা মহিলার নাম বিস্মৃতির অন্তরালে চলে গেলেও তার দুই শিশুর নাম মাধুরী ও কবরি। তাদের বাবা ছিল মিলের অফিসার। তারা ছিল চট্টগ্রামের মানুষ এবং ধর্মে খ্রিস্টান ।তিনি মিলের আট কোয়ার্টারে থাকতেন। তাকেও মিলে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে হত্যা করা হয়।
একাউন্টস অফিসার গোলজার সাহের স্ত্রী ফিরোজা বেগম পালিয়ে এসেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুই শিশু। তিনি সন্ধ্যার দিকে এসেছিলেন। তিনি মিলের পুকুরের ধারেই কোয়ার্টারে থাকতেন। মিলের গণহত্যা তিনি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। জাফর মোল্লা বাড়ির চারচালা উঁচু ঘরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে শহীদ গোলজার হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম সাপ্তাহিক শহীদ সাগর পত্রিকায় সাক্ষ্য দেন যে, পাক সেনা আবার হামলা করবে এ আশঙ্কায় আমরা বিকেলে মিল ছেড়ে যায়। ব্যাংক ম্যানেজার ও মিল স্কুলের শিক্ষকের সাথে গেটে দেখা হয়। এখন আর তার নাম মনে নেই। তাদের সাথে প্রথমে মিলের পশ্চিমে বিলশলিয়া জাতীয় নাম আছে এমন এচেনা গ্রামে একটি বড় বাড়িতে আমরা দুই দিন ছিলাম।
শুধু সামছুন্নাহার আজিম এবং ফিরোজা বেগমই নয়, ১৯৭১ সালের ৫ মে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা শুরু হলে সেখান থেকে শত শত পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় বাওড়া গ্রাম হয়ে বিলশলিয়ায় আসে। যারা বাওড়া গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সুগার মিল সন্নিকটে থাকায় এবং পুনরায় হানাদারের হামলার আশঙ্কায় নিরাপদ মনে না করে আরও পশ্চিমে বিলশলিয়ায় চলে আসে।জীবন ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এই সব পালিয়ে আসা বহু পরিবারকে নিজ দায়িত্বে বাড়িতে এবং গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয়দানে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের স্বযত্নে ও নিরাপদে থাকা খাওয়া এবং নিরাপদে সুবিধাজনক স্থানে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে প্রাণ রক্ষা করেছিলেন উক্ত দুই ভাই আর সাথে ছিল গ্রামের নিবেদিত মানুষগুলো। সালামপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা বেশি থাকায় এবং গোপালপুরে প্রতিনিয়ত সংগঠিত ঘটনার কারণে মিলের প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বিলশলিয়া গ্রামের দিকে সাধারণ মানুষের নজর ছিল বেশি। এই কারণে এই গ্রামে বহু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের প্রত্যাশায় আসতো।
৫ মে ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় শত শত ভীত সন্ত্রস্ত নর-নারী বিলশলিয়া গ্রামের বর্ণিত বাড়ি ছাড়াও প্রায় সব বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। আশ্রিতদের যাতে কোনোরুপ সমস্যা না হয় তার পুরো দায়িত্ব ছিল এই দুই ভাইয়ের উপর। যারা ৫ তারিখে বিলশলিয়া গ্রামে এসেছিল তাদের মধ্যে আবার অনেকেই যুদ্ধকালীন পুরো সময়ের জন্য থেকে গিয়েছিল। পুরুষেরা যারা মিলে চাকরী করতেন, তারা দিনে্র বেলা মিলে অফিস করে আবার পরিবারের নিকট চলে আসতেন। এভাবে তারা বলতে গেলে সারা বছরই বিলশলিয়া থেকে মিলে অফিস করতেন। যারা বিলশলিয়া গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ছিলেন, বিস্মৃতির অন্তরালে চলে যাওয়ায় এবং তৎকালীন বয়স্ক লোকের অবসান হওয়ায় এখন আর কারো নাম পাওয়ার উপায় নেই। সেই সময়ের বাইশ বছরের বালক এনায়েত মোল্লার সন্তান রহিম মোল্লা জানান, আব্দুল হক এবং তার ভগ্নিপতি কামাল নামের দুই জনের পরিবার থাকতেন আমাদের বাড়িতে এবং আমার ঘরে থাকতেন বলে রহিম জানান।তাদের বাড়ি ছিল রানীনগর। আব্দুল হক পরবর্তীকালে গোপালপুর স্টেশন সংলগ্ন ‘হক লাইব্রেরী’ নামে একটি দোকান করেছিলেন।এভাবে তিনি গোপালপুরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি জানান, শরাফত হাজীর (সুজাত মোল্লা ও সাহাবুদ্দিন মোল্লার পিতা এবং উভয়েই মৃত) বাড়িতে ছিল প্রায় কুড়ি থেকে বাইশ পরিবার। এরকম অন্য যে সকল বাড়িতে মানুষ গাদাগাদি করে থাকতেন তাদের নামগুলো না নিলেই নয়। যেমন, রফাত মোল্লার (রিয়াজ মোল্লা ও ইয়াসিন মোল্লার পিতা) বাড়িতে অসংখ্য মানুষ ঠাসাঠাসি করে ছিলেন।
একইভাবে ময়েজ মোল্লার (মফেজ, আখের, আফসার ও শাহাজানের পিতা) বাড়িতে বহু মানুষ জায়গা করে নিয়েছেন, তাদের খাইয়েছেন, যত্ন নিয়েছেন। নয়ন মোল্লার (কাজেম মোল্লা ও ছাদের মোল্লার পিতা) বাড়িটিও ছিল বিপদগ্রস্থ অচেনা মানষে ভরা। প্রতি বাড়িতে মানুষ বাস করতেন গাদাগাদি ও ঠাসাঠাসি করে। নেতৃত্ব দানকারী দুই ভাই ব্যাতীত গ্রামের অন্যান্য আশ্রয়দাতা সাধারণ মানুষগুলো শিক্ষা দীক্ষায় তেমন শিক্ষিত ও জ্ঞান সম্পন্ন না হলেও তারা ছিল মানুষ হিসেবে মানবিক ও দেশাত্মবোধ গুণসম্পন্ন।
আর মিলের এই সব চাকরীজীবী মানুষগুলো মিলের বাসাতে থাকতেন অত্যন্ত আরামদায়ক ও সুবিধাজনক পরিবেশে ও নিজস্ব ভূবনে। কিন্তু বিলশলিয়া গ্রামে সে সময় বিদ্যুতের ব্যবস্থা তো কল্পনাও করা যায় না। রাস্তা ছিল শুকনায় ধুলা-বালি ও বর্ষায় কর্দমাক্ত। অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই নাম না লেখানো মানুষগুলি পায়নি স্বাধীতার কোন সুযোগ-সুবিধা ও সুফল। স্বাধীনতার সময় যে কাঁচা রাস্তা ছিল, এখন তার থেকে যে খুব ভালো হয়েছে, তা বলা কঠিন। গ্রামে কোন টিউবয়েলের ব্যবস্থা ছিল ছিলনা। মানুষ রান্না-বান্নার কাজে কুয়ার ও পুকুরের পানি ব্যবহার করতো। এমনই অবস্থায় বাহির থেকে আসা বিপদ্গ্রস্থ অতিথীরা থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি নানা সমস্যার মধ্যে শিশু সন্তানসহ এমন বিপন্ন পরিবেশে তাদের বাধ্য হয়ে থাকতে হয়েছে।
সে সময় আনুমানিক পঞ্চাশটির মতো বসতি ছিল বিলশলিয়া গ্রামে। সমস্ত বাড়িই যেন ছিল এক একটি আশ্রয় কেন্দ্র। এই সল্প সংখ্যক বাড়িঘরের মধ্যে শত শত বিপদাপন্ন ও দূর্দশাগ্রস্ত মানুষ। কম বেশি যাই হোক গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতেই আশ্রিত মানুষ ছিল। প্রত্যেকেই বিভিন্ন ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে আশ্রিতদের। দীর্ঘ কয়েক মাস এক সাথে বসবাস করতে করতে অনেকের সাথে গভীর বন্ধুত্ব ও মায়ার বাধনেও আটকে গিয়ে এক সময় বিদায় মুহুর্তে নিরবে কেঁদে কেঁদে চোখ ভেজানোর গল্পও জনশ্রুতি আকারে রয়ে গেছে মানুষের মধ্যে। সাতচল্লিশ বছর পূর্বের এসব বাস্তব সত্য ঘটনা গ্রামে গল্প আকারে ভেসে বেড়ায় এখনও।
* সাদ আহমেদ: সম্পাদক, সাপ্তাহিক শহীদ সাগর।
সাম্প্রতিক মন্তব্য