logo
news image

নলডাঙ্গায় সমাজচ্যুত সোলেয়মান মুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা (নাটোর)।  ।  
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের সোলায়মান আলী নামের এক কৃষক পরিবারকে এক বছর তিন মাস ধরে সমাজচ্যুত (একঘরে) রাখার ঘটনা প্রশাসনে তোলপাড়ের সৃষ্টি হযেছে। রোববার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাজচ্যুত (একঘরে) রাখা সোলেয়মান আলীর পরিবারটি মুক্ত হয়। গত ২৭ অক্টোবর বিভিন্ন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনে বিষয়টি আলোচিত হয়।
রোববার নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি ও নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান উদ্দ্যেগ নিয়ে পিপরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিনের সহযোগিতায় শ্যামনগর গ্রামের মাতব্বর দের নলডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয়ে ডেকে উভয় পক্ষের কথা শুনে আপোস-মিমাংসা করে সোলায়মান আলীর পরিবারের উপর সকল বাধা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন এবং সবাইকে মিলে মিশে এক সঙ্গে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাসের পরামর্শ দেন। তবে সমাজচ্যুত সোলেয়মান আলী কে ছেলের বিয়ে বাবদ সমাজের রীতি অনুযায়ী সমাজের ফান্ডে ২ হাজার ৫০০ টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। উপজেলার শ্যামনগর গ্রামে সোলেয়মান আলী নামের এক কৃষক পরিবার সমাজের লোকদের দাবী মেনে না নেওয়ায় ১৫ মাস যাবৎ (একঘরে) সমাজচ্যুত করা হয়। এতে কৃষি জমি চাষ,কৃষি জমি বর্গা লিজ প্রদানে বাধা নিষেধ আরোপ করে সমাজের মাতব্বররা। এতে সোলেয়মান আলী তার পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে প্রশাসনের নজরে আসে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তৎপর হয়।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্ত হওয়া সোলেয়মান আলী বলেন,গত এক বছর তিন মাস থেকে আমি মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেনি,আমার মাঠের জমি চাষে ও বর্গা লিজ প্রদানে বাধা দেওয়ায় অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেছি। ইউএনও স্যার এ বিষয় সমাধান করে আমার পরিবার কে মুক্ত করেছে এতে আমি অনেক খুশি এবং আমি সমাজের সকল নিয়ম কানুন মেনে সবার সাথে সমাজবদ্ধ হয়ে বাকী জীবন কাটাতে পারবো।
শ্যামনগর গ্রামের সামজের মাতব্বর আহাদ আলী ও কাসেম আলী বলেন, ইউএনও বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছে। সোলেয়মাল আলীর পরিবার সমাজ বন্ধ করা হলএবং তার উপর সকল বাধা নিষেধ প্রত্যাহার করা হযেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি জানান,সোলেয়মান আলীর পরিবার কে (একঘরে) সমাজচ্যুত হতে মুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, মানুষ সামাজিক জীব সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করার আমাদের দেশে প্রতিটি গ্রামে রীতি চালু আছে। কাউকে সমাজচ্যুত (একঘরে) রেখে বিভিন্ন কাজে বাধা প্রদান করা রাষ্টীয় অধিকার ক্ষুন্ন করার সামিল প্রচলিত আ্ইনও তা সমর্থন করেনা।এ কাজ উপজেলার কোন গ্রামের সমাজে এধরনের (একঘরে) সমাজচ্যুত করার ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top